পরিবহণ দফতরের তরফে বলা হয়েছে প্রাইভেট বাইককে বাণিজ্যিক করার ক্ষেত্রে নম্বরে কোনওরকম পরিবর্তন করা হবে না, শুধু মাত্র নম্বর প্লেট সাদা থেকে হলুদ করলেই চলবে। কিন্তু তাতেও আগ্রহ বাড়েনি চালকদের। এক্ষেত্রে চালকদের একাংশের মত, তাঁরা সারাজীবন এই কাজ নাও করতে পারেন, ভবিষ্যতে পেশা পরিবর্তনও করতে পারেন। কিন্তু বাইক বাণিজ্যিক হয়ে গেলে পেশা পরিবর্তনের পরেও তাঁদের সেই করই দিতে হবে বলে আশঙ্কা বাইক চালকদের। অর্থাৎ পেশা পরিবর্তন করলেও বয়ে বেড়াতে হবে বাড়তি খরচ। আর সেই কারণেই বাইককে বাণিজ্যিক করতে চাইছেন না তাঁরা।
সমস্যার সমাধান দিলেন মন্ত্রী
আর এবার চালকদের এই আশঙ্কারই নিরশন করলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। মন্ত্রী বলেন, ‘যেদিন চালক ব্যবসা ছাড়বেন, তিনি ডিক্লিয়ারেশন দেবেন যে ওই ব্যবসা আর করছি না। তিনি একটা সামান্য ফি দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে নম্বর প্লেট বদলে নিতে পারবেন, কোনও অসুবিধা নেই, আবার প্রাইভেটে পরিবর্তিত হয়ে যাবে।’ তবে এই কাজে ব্যবহৃত বাইকগুলিকে অবিলম্বে বাণিজ্যিক করার ওপরে গুরুত্ব দেন তিনি।
স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রাইভেট নম্বরে ব্যবসা করা যায় না। রাস্তাঘাটে পুলিশ ধরে, পুলিশ ধরলে জরিমানা করে। আর এটা নিয়ে তাঁরা (চালকরা) হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। আরও একটা সমস্যা হল, কেউ হয়ত বাণিজ্যিক নম্বর নিয়ে ব্যবসা করছেন। তার পাশাপাশি অন্য কেউ হয়ত আবার প্রাইভেট নম্বর নিয়ে ব্যবসা করছেন। সেক্ষেত্রে যাঁরা বাণিজ্যিক নীতি মেনে ব্যবসা করছেন তাঁরা তো আপত্তি করবেন। এমনকী এই নিয়ে তাঁরা আদালতেও যেতে পারেন। তাই যেখানে যেটা নিয়ম, সেটা সবাইকে মানতে হবে। বেআইনিভাবে ব্যবসা চালাতে দেওয়া যায় না।’ এক্ষেত্রে মাত্র এক হাজার টাকার বিনিময়ে ক্যাম্প পদ্ধতিতে এই পরিবর্তন করা যাবে বলেও জানিয়ে দেন মন্ত্রী।