বিধাননগর পুরসভা সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। শুধু আগস্ট মাসে বিধাননগরে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০০ জনের বেশি। সাধারণ মানুষের মধ্যে ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে বিধাননগর পুরসভা। ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবার পৌরাণিক কাহিনীকে হাতিয়ার করেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর আলো দত্ত। ৩৮ ওয়ার্ডের সভাপতি নির্মল দত্তের তত্ত্বাবধানেই আয়োজিত হয় এই অভিনব উদ্যোগ।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী জন্মাষ্টমীতেই জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। আর তাই জন্মাষ্টমীর সকালে দত্তাবাদ অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে ডেঙ্গি সচেতনা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন সকলে। অভিনব পদ্ধতিতে জন্মাষ্টমী পালনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। দত্তাবাদ আঞ্চলের বাসিন্দা রিংকু সাহাকে সাজানো হয় যশোদা। অঞ্চলের আরও বাসিন্দা সানা দত্তকে সাজানো হয় কৃষ্ণ আর সুদামা সাজেন কমল হাজরা নামে আরেকজন। কৃষ্ণকে কোলে নিয়ে মা যশোদা পৌঁছে যায় এলাকাবাসীর বাড়ির দরজায় দরজায় সঙ্গে সুদামা। মা যশোদা এলাকাবাসীদের ডেঙ্গি মোকাবিলার বিভিন্ন উপায়ের কথা জানান। এভাবেই জন্মাষ্টমী পালন করা হয় বিধান নগরের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে।
কাউন্সিলর আলো দত্ত বলেন, ‘এই সময়ে প্রত্যেক বছরই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার কারণে এখানে ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাবও রয়েছে। অনেকেই জল জমিয়ে রাখছেন অথবা বাড়ির আশপাশ নোংরা করে রাখছেন। সেই কারণে তাঁদের এদিন সতর্ক করা হয়েছে। মানুষকে সতর্ক করতেই আমাদের এই অভিবন পদক্ষেপ।’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি নির্মল দত্তও এদিন উপস্থিত ছিলেন। এদিন তিনি বলেন, ‘আজকে জন্মাষ্টমী। সেই কারণে যশোদা মা, শ্রীকৃষ্ণ ও সুদামাকে নিয়ে আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। তাঁদের সচেতন করা হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। আশা করি আমরা উপকৃত হব।’
