সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন তিনি, উঠে আসছে এমনই তথ্য। ফ্ল্যাট দুর্নীতি মামলায় নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। প্রথম BJP নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। নুসরতের বিরদ্ধে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
শঙ্কুদেব পণ্ডার অভিযোগ ছিল, “প্রবীণদের অর্থ নিয়ে চিটিংবাজি চলছে। তাঁদের পয়সা নিয়ে ফ্ল্যাট কেনা হচ্ছে। সেই টাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রবীণদের জন্য বিচার চাই। এর শেষ দেখে ছাড়ব।” অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন নুসরত জাহান। এই নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই ED-র নজরে টলিপাড়ার আরও এক অভিনেত্রী।
ED নোটিশ প্রসঙ্গে ঠিক কী বললেন নুসরত জাহান?
গত মঙ্গলবার তিনি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। সেখানেই এই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে নায়িকা তথা সাংসদ বলেন, “আমি দিনভর কাজে ব্যস্ত থাকি। কলকাতায় এসে যদি জানতে পারি এই ধরনের কোনও নোটিশ এসেছে সেক্ষেত্রে অবশ্যই যাবতীয় পদক্ষেপ করব।” পাশাপাশি তাঁকে ডাকা হলে তিনি অবশ্যই যাবেন বলে জানান এই তারকা সাংসদ।
প্রসঙ্গত, সেভেন সেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেডের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের থেকে অগ্রিম নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থার বিরুদ্ধে। সংস্থাটির ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত জাহান, এমনই তথ্য সামনে আসে। ফ্ল্যাট বিক্রি করার নামে অগ্রিম দিয়ে সেই টাকায় নিজের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন নুসরত জাহান।
তিনি স্পষ্ট জানান, সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে তিনি ঋণ বাবদ কিছু টাকা নিলেও তা সুদ সমেত ফেরত দিয়েছেন। তাঁর কাছে যাবতীয় নথি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে ED তলবের খবর সামনে এসেছিল। এই সংস্থার ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা রাকেশ সিংকে তলব করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরই মধ্যে নতুন করে এক অভিনেত্রীর নাম সামনে আসায় শোরগোল পড়েছে।