মৃতের এক আত্মীয়র কাছ থেকে জানা গিয়েছে, সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, রেলে চাকরির পাওয়ার আশায় এক ব্যক্তিকে নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিশাল চৌধুরী। বারবার সেই টাকা ফেরত চেয়েও না পেয়ে অবশেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি।
সাড়ে ৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ
আত্মীয়রা জানাচ্ছেন, মালদা শহরের অরবিন্দ পার্ক এলাকার বাসিন্দা কৌশিক মণ্ডল নামে একজনের হাতে দেওয়া হয়েছিল টাকা। টাকার অঙ্ক সাড়ে ছয় লাখ। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়েছিল বিশাল। আত্মীয়রা আরও জানাচ্ছেন, ছোটবেলাতেই বিশালের বাবা-মা মারা গিয়েছেন। রথবাড়ি চাটাই পট্টি এলাকায় তাঁর মামার বাড়ি। সেখানেই বড় হয়েছেন বিশাল। গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর চাকরির খোঁজ করতে গিয়ে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে যান তিনি। খবর পেয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এই বিষয়ে আত্মঘাতী যুবকের দাদা বলেন, ‘আমার ভাই চাকরির প্রতারণায় পড়ে যায়। আমাদের বলেছিল চাকরির জন্য একজনকে টাকা দিয়েছি। সে বলেছে চাকরি করে দেবে। কিন্তু সে চাকরি দিতে পারেনি। আমার ভাইকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সে ফাঁদে পড়েও যায়। চাকরির জন্য কিছু মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার করে। সে সুদে টাকা নিয়ে কৌশিক মণ্ডলকে দিয়েছিল। মাঝে ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিল। তখন ওর টাকা থেকে ওকেই বেতন দেওয়া হয়। পরে বুঝতে পেরে টাকা ফেরত চায়। কিন্তু তারা টাকা ফেরত দেয়নি, বলেছিল চাকরি দেব। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যখন ভাই চাকরিতে যোগ দিতে পারেনি তখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ও আত্মহত্যা করে।’
চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী
আরও এক ব্যক্তি বলেন, ‘বিশাল প্রতাারণার ফাঁদে পড়েছে। একজন বলেছিল চাকরি দেব। তার জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা চেয়েছিল। ও অনেকের থেকে সুদে টাকা ধার নিয়েছিল চাকরি পাবে বলে। কিন্তু এক বছর ধরে চাকরি দেবে বলেও দিচ্ছিল না। এদিকে যাদের থেকে টাকা নিয়েছিল তারাও চাপ দিচ্ছিল। সেই চাপ আর সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করল।’ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’