সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার একটি কলেজে পড়ুয়াদের উদ্দেশে কর্তৃপক্ষের জারি করা পোশাক-বিধি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অটো ইউনিয়নের দাবি, যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সুবিধারা কথা মাথায় রেখেই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে মহিলা যাত্রীদের অটোর সামনের আসনে বসতে হয়। সেক্ষেত্রে চালক হাফপ্যান্ট পরে থাকলে মহিলা যাত্রীদের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই চিন্তাভাবনা থেকে এই রুটের সকল অটোচালকদের হাফ প্যান্ট পরে গাড়ি চালাতে নিষেধ করা হয়েছে।
শুধু পোশাক বিধিতেই থেমেই নেই এই অটো সংগঠন। মদ্যপ অবস্থায় চালকদের অটো চালানোর প্রবণতার উপর রাশ টানতে ‘কড়া’ অবস্থান নিয়েছে এই আইএনটিটিইউসি পরিচালিত এই অটো সংগঠন। সভাপতি অনুপম মণ্ডলের তরফে চালকদের উদ্দেশে বেশ কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে হ্যাফ প্যান্ট পরে বা মদ্যপ অবস্থায় অটো চালনোয় নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব চালকরা নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাঁদের উপর নেমে আসবে শাস্তির খাঁড়া। অটো সংগঠন সূত্রে খবর, নিয়ম না মানার জন্য বেশ কয়েকজন অটোচালকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অনুপম মণ্ডল বলেন, ‘চালকদের নিয়মানুবর্তিতা শেখানোর চেষ্টা আমরা করছি। সব অটোচালকই যে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালান এমন নয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই সেই অভিযোগ থাকে। ইতিমধ্যেই তিনজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। হ্যাফপ্যান্ট পরে অটো চালানোও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মূলত মহিলা যাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই এটা করা হয়েছে।’
উল্টোডাঙা-বাগুইআটি রুটের অটো সংগঠনের নেতা সোমনাথ দত্ত এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘মহিলাযাত্রীদের অনেক সময়ই অটোর সামনে আসনে বসতে হয়। সেক্ষেত্রে চালকদের হাফপ্যান্ট পরে থাকাটা কুরুচিকর বলেই আমাদের মনে হয়েছে। শহরের বেশ কিছু রুটে অটোচালকদের নিয়মিত হ্যাফ প্যান্ট বা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। এটা মোটেই ঠিক নয়। সেই কারণে আমাদের বিধানসভার আইএনটিটিইউসির সভাপতি অনুপম মণ্ডলের নির্দেশে এই নিয়ম চালু করা হয়েছে। গোটা রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা এলাকার সব অটো রুটেই এই নিয়ম চালু হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই রুটের বেশ কয়েকজন অটোচালককে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। শহরের অন্যান্য রুটের অটো সংগঠনগুলিকেও আমাদের অনুরোধ তাঁরা যেন এই নিয়ম চালু করেন।’