জাগ নিয়েছে বৃহস্পতিবার দিনের ব্যস্ত সময়ে ব্লু লাইনের গিরীশ পার্ক স্টেশনে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। যার জেরে কিছু সময় বন্ধ করা হয় টালিগঞ্জগামী মেট্রো পরিষেবা। এদিকে নিজ নিজ কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমই হল মেট্রো। সেক্ষেত্রে কাজের জায়গায় যাওয়ার পথে এই ঘটনায় রীতিমতো হয়রানির শিকার হতে হয় হাজার হাজার যাত্রীকে।
এই বিষয়ে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে যে, সকাল ৯টা ৫৫ নাগাদ খবর আসে যে মেট্রোর ডাউন লাইনে ঝাঁপ দিয়েছেন এক যাত্রী। মেট্রো প্রথম কোচের নীচে ঢুকে যান তিনি। ১০টা ৪ মিনিট নাগাদ লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর ১০টা ১২ মিনিটে মেট্রোর নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যাত্রীকা। ১০টা ১৭ মিনিটে ফের মেট্রোর থার্ড লাইনে করা হয় বিদ্যুৎ সংযোগ, এবং ১০টা ২০ মিনিটে পুনরায় মেট্রো চলাচল শুরু হয়।
প্রায়শই এমন ঘটনা
তবে মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা অবশ্য নতুন নয়। মাঝে মধ্যেই ঘটে যায় এই ধরণের ঘটনা। এর আগে গত জুলাই মাসে মহাত্মা গান্ধী রোড মেট্রো স্টেশনেও ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ঘটনার দিন দুপুরে আচমকা মেট্রোর সামনে ঝাঁপ দেন এক যুগল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যুগলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আত্মহত্যা রুখতে ব্যবস্থা
একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় মেট্রোয় আত্মহত্যা রোখারও চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ। তার জন্যে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপও। কলকাতা মেট্রোর প্রত্যেকটি স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় প্লাটফর্ম ডোর বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেট্রো রেলের এক আধিকারিক জানান, প্রত্যেকটি মেট্রো স্টেশনেই এই দরজা বসানোর কাজ করা হবে। আর তা বসানো হলে স্টেশনে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঠেকানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দরজা খুবই আধুনিক একটি ব্যবস্থা বলেই দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। এটি একবার কার্যকর হলে হয়রানি কমবে সাধারণ যাত্রীদেরও।