প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর এক বিরল মুহূর্তের সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। রাজ্য সংগীত হিসেবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’- স্বীকৃতি পেতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিধানসভা গাওয়া হয় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত এই গান। শুরুটা করে তৃণমূল বিধায়ক ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। মাইকে ইন্দ্রনীল গান ধরতেই নিজের আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে গলা মেলাতে শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীকেও। উপস্থিত অন্যান্য মন্ত্রী ও বিধায়কদেরও গানের তালে তালে ঠোঁট নাড়তে দেখা যায়।
১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় এই গান রচনা করেছিলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর থেকে এই গান হয়ে উঠেছে বাঙালির পরিচয়। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হামেশাই শুনতে পাওয়া যায় ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। এদিন কবিগুরু রচয়িত সেই গানের সুরেই মুখরিত হল বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ। গান শেষের পর তৃণমূল বিধায়করা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
রাজ্য সংগীত শেষ হওয়ার পরই রাজ্যের বিধায়কও মন্ত্রীদের উদ্দেশে বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একধাক্কায় বিধানসভার সদস্যদের বেতন অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানান, এখন থেকে বিধায়ক, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হল। মমতা বলেন, ‘বাংলার বিধায়কদের বেতন ও সুযোগ সুবিধা সব থেকে কম। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি কোনও বেতন নিই না। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে।’
