পুলিশ কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় মোতায়েন পুলিশ কর্মীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ইসরাফিল সাহাজি। বয়স ৩০ বছর। বাড়ি নদিয়ার চাকদহ থানার মদনপুরের জঙ্গলগ্রামে। বুধবার তিনি বাড়িতে ছিলেন। কল্যাণীর হাউসিং পুলিশ কোয়ার্টারে সস্ত্রীক থাকতেন ওই পুলিশকর্মী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন। বাড়িতে এসেছিলেন বুধবার। খাওয়া দাওয়া ও বিশ্রামের পর বিকেল পাঁচটা নাগাদ হাঁটতে বেরোচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বার হন তিনি। এরপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ মিলছিল না। বিকেল পাঁচটার পর আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলে খবর। পরে রাত দশটা বেজে গেলেও ইসরাফিল বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন সাংঘাতিক উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, সেসময় লাগাতার এক টানা তাঁকে ফোন করা সত্ত্বেও কোনও উত্তর মেলেনি। পরিচিত, বন্ধুদের বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কোনও সূত্র মেলেনি।
রাত ১২টার পর মেলে খোঁজ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিক ওদিক খোঁজ করার পরও পুলিশ কর্মী ইসরাফিল সাহাজির কোনও পাত্তা না মেলায়, প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছিল পরিবার। সেসময় জিআরপি থেকে একটি ফোন আসে। আনুমানিক, রাত ১২টা বেজে যাওয়ার পর জিআরপি থেকে ফোন করে জানানো হয় রেল লাইনের পাশ থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পকেটে পরিচয় পত্র দেখে তারা বাড়িতে যোগাযোগ করেন। গতকাল রাত নটা নাগাদ কল্যাণী মদনপুর স্টেশনের মাঝামাঝি জঙ্গল গ্রাম এলাকা থেকে তার দেহকে উদ্ধার হয় বলে খবর। এরপরই পরিবারের লোকজন সেখানে পৌঁছে দেহটি শনাক্ত করেন।
পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে রহস্য
কীভাবে ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি খুন, আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। তদন্তে মেনেছে রাণাঘাট জিআরপি। ওই সময় ওই লাইন দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেনের চালক ও গার্ডের থেকে খবর নেওয়া হচ্ছে, তারা কিছু দেখেছে কিনা। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিযুক্ত পুলিশকর্মীর রহস্য মৃত্যুতে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।