লাগাতার ৩ দিন বাঁকুড়া জেলার ৩টি বন বিভাগের প্রতিটি বিটে সাইন সার্ভে হবে। ৩ দিনে সাড়ে তিন কিলোমিটার থেকে শুরু করে সাড়ে দশ কিলোমিটার পর্যন্ত সাইন সার্ভে করার পর যে সমস্ত এলাকায় প্রাণীদের সন্ধান মিলবে সে সমস্ত জায়গায় পরবর্তীতে ২৮০ টি ক্যামেরা লাগিয়ে এক মাস পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা জানান, বাঁকুড়ার জঙ্গলে ছোটো ও অনালোচিত বণ্য প্রাণীদের সন্ধানে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত প্রাণীদের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা নেই, বা সেগুলি সংখ্যায় কতো পরিমাণে রয়েছে, সেই সমস্ত বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। আর এই কাজ সফল করতে বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রায় দেড় মাস সময় ধরে এই জেলার এক হাজার কিলোমিটার জঙ্গল ঘুরে ওই প্রাণী গুলির পায়ের ছাপ, আঁচড়ের দাগ, মলমূত্র, গর্ত কিংবা কোটর, সবই পর্যবেক্ষণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
বনদফতরের মুখ্যবনপাল (মধ্য সার্কেল) কুলান ড্যাইভাল জানান, বাঁকুড়া জেলার জঙ্গলে যে সমস্ত ছোটো প্রাণী আছে তার সংখ্যা নির্ধারন করার জন্য বিগত একমাস ধরে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ম্যাপের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন প্রাণীর খোঁজে এই কাজ শুরু হয়েছে। তাদের চিহ্নিত করতে জঙ্গলে আগামী এক মাসের জন্য ২৮০ ক্যামেরা লাগানো হবে। পরে ওই ক্যামেরা থেকে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে পরবর্তী কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যতম পর্যটন স্থল বাঁকুড়া। বিশেষত এই জেলার জয়পুর জঙ্গল পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য। মাঝে মধ্যেই সেই জঙ্গলে হাতির দেখাও মেলে। তবে হাতি ছাড়াও বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে রয়েছে আরও অনেক বিরল প্রাণী। এবার সেগুলিকেই খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।