দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর সংলগ্ন সুলেখা মোড় থেকে বাঘাযতীনের দিকে এগোলে ১০০ মিটারের মধ্যেই চোখে পড়বে সুসজ্জিত একটি দোকান। ভেসে আসবে গরমাগরম তেলেভাজার গন্ধ। আর দোকানের নাম খুঁজতে গেলে চোখে পড়বে পরিচিত সেই শব্দবন্ধ, ‘চপ শিল্প’। দোকানের কর্ণধার সুরজিৎ সোম।
জেনে নিন নেপথ্য কাহিনি
কিন্তু হঠাৎ এই নামটাই বেছে নিলেন কেন? উত্তরে সুরজিৎবাবু বলেন, ‘নামটা খুব ক্যাচি, নামটা ভাল লেগেছে, তাই বেছে নেওয়া। নামটার মধ্যে অনেককিছু আছে। তাই এই নামটা নেওয়া।’ তিনি জানান, আগে খাদ্য শিল্প নামে শিলিগুড়িতে তাঁর একটি দোকান ছিল। তবে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এবার এই দোকানটি চালু করেছেন। ইতিমধ্যেই ২৩ বছর তিনি এই পেশায় রয়েছেন বলে জানান সুরজিৎবাবু। তিনি জানান, পুজোর আগে ৪-৫টি কাউন্টার চালু হবে। কাজে যুক্ত হবেন প্রায় ৫০ জন। আর আগামী একবছরের মধ্যে সারা কলকাতায় আরও ২০ থেকে ২৫টি কাউন্টার খোলা হবে বলে জানান তিনি।
কী কী পাওয়া যাচ্ছে?
নিরামিষ ও আমিষ উভয় প্রকারের চপই পাওয়া যাচ্ছে এই দোকানে। সেক্ষেত্রে নিরামিষের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, ভেজিটেবল চপ, আলুর চপ, আমের চপ, মোচার চপ, বেগুনি। আবার আমিষের মধ্যে মধ্যে মিলছে, ফিশ ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ মাটন রোল, চিকেন চিজ কাটলেট, চিকেন ফাউল কাটলেট, গন্ধরাজ চিকেন, রাজশাহী মাটন কাটলেট, মাটন চপ, হাঁসের ডিম দিয়ে মাটন ডেভিল, বাসন্তী পোলাও-সহ আরও অনেক কিছু। আর কয়েকদিন পরেই তাঁদের নয়া রেস্তোরাঁও খুলে যাচ্ছে বলে জানান সুরজিৎবাবু।
ইতিমধ্যেই এই দোকানের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেটিজেনরা দোকান নিয়ে বিভিন্ন ধরণের মন্তব্যও করছেন। তবে দোকানের নামটি সকলের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এবারের পুজোয় পেটপুজোর নয়া ডেস্টিনেশন হয়ে উঠতেই পারে দক্ষিণ কলকাতার এই চপের দোকান থুড়ি চপ শিল্প।