Bus Strike: রাজ্য সড়কে অটো-টোটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ বেসরকারি বাস, হুঁশিয়ারি বাস মালিক সংগঠনের – north dinajpur private bus association give threat for go on a strike


প্রশাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও জাতীয় সড়ক বা রাজ্য সড়কের উপর অব্যাহত টোটো-অটোর দৌরাত্ম্য্য। জাতীয় এবং রাজ্য সড়কে টোটো চলাচল বন্ধ না হলে এবং CNG অটোর সুনির্দিষ্ট পথ নিয়ন্ত্রণ না করলে বেসরকারি যানবাহন চলাচল বন্ধের হুঁশিয়ারি বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের।

দিন পাঁচেক আগেই রাজ্য পরিবহন দফতরের তরফে জাতীয় কিংবা রাজ্য সড়কে টোটো-অটো সহ ৩ চাকার যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রায়গঞ্জ তথা উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের বলে অভিযোগ। প্রশানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে আন্দোলন নামতে চলেছে জেলার বাস মালিক সংগঠন।

Toto E Rickshaw : টোটো-ই রিকশ চলবে না! বাসরুটের হাল ফেরাতে কঠোর পদক্ষেপের পথে পরিবহণ দফতর

এবিষয়ে রবিবার রায়গঞ্জে নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামানিক। তিনি জানিয়েছেন, ‘তিনটি পরিবহন মালিক সংগঠনের যৌথ সমিতির ব্যানারে তারা ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর দিনাজপুর জেলায় জাতীয় ও রাজ্য সড়কের উপরে টোটো যাতায়াত বন্ধের দাবিতে বেশ কিছুদিন থেকেই সরব হয়েছেন তারা।’

Toto E Rickshaw : বেআইনি টোটো কারখানা বন্ধের পথে রাজ্য সরকার, প্রয়োজনে কড়া ব্যবস্থা
পাশাপাশি, সিএনজি পাম্প ছাড়াই সিএনজি পরিচালিত গাড়ি গুলি অবৈধ ভাবে যত্রতত্র চলাচল করছে। ১ সেপ্টেম্বর এনিয়ে মহকুমাশাসক, আঞ্চলিক পরিবহন আধিকারিক এবং রায়গঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও করণদিঘীর বিডিওদের ডেপুটেশনও জমা দিয়েছেন। কিন্তু, এক্ষেত্রে কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। তাই অবিলম্বে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নিলে আগামী ১২ তারিখ অর্থাৎ বুধবার জেলায় ধর্মঘট পালন করা হবে বলে সাফ জানিয়েছেন প্লাবন প্রামাণিক।

Toto E Rickshaw : টোটো দেখলেই আটক! দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর পুলিশ-পরিবহণ দফতর
ব্যাটারি চালিত টোটো ও ই-রিকশ এখন যথেষ্ট জনপ্রিয়। কিন্তু পরিবেশ বান্ধব এই যান চালকদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। তিন চাকার এই যানের কোনও আইনি বৈধতা না থাকলেও প্রতি জেলাতেই প্রায় টোটো-ই রিকশর রমরমা। ফলে যাত্রী কমছে সরকারি, বেসরকারি বাসে। কম দূরত্বের রুটে যেতে বাড়ছে টোটোর ব্যবহার। এর ফলেই অশনি সংকেত দেখছেন বাসমালিকেরা। সরকারি ও বেসরকারি বাস যাত্রী না পেয়ে সাংঘাতিক ক্ষতিতে চলছে। যাত্রীদের অভাবে বন্ধ হচ্ছে একাধিক বাসরুট বলে দাবি বেসরকারি বাস মালিকদের। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই অভিযোগ শুনে কড়া পদক্ষেপের কথা জানান। তিনি বলেন, জাতীয় ও রাজ্য সড়কেই ব্যাটারি চালিত এই যান চলাচল বন্ধ করার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে রাজ্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *