কী জানা যাচ্ছে?
দক্ষিণ দমদম পুরসভা অঞ্চলে ডেঙ্গু আক্রান্ত-র মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দমদম থানার অস্থায়ী পুলিশ কর্মী প্রীতম ভৌমিক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল ৮ তারিখ সন্ধ্যায় সাড়ে সাতটা নাগাদ নাগেরবাজার সংলগ্ন এক নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। এরপরেই শনিবার ভোর ৩টে ৪৬ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ হিসেবে মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গু উল্লেখ করা হয়। মৃত প্রীতম ভৌমিক দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দেবী নিবাস রোড অঞ্চলের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
দমদমে আরও এক মৃত্যু
জানা গিয়েছে, দমদমের দেবেন্দ্রনগর এলাকায় এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত কিশোরীর নাম মধু সিংহ। শনিবার দুপুরে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। ওই কিশোরীর ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গি শক সিন্ড্রোম এবং ডেঙ্গি হেমারেজ়িক ফিভারের উল্লেখ রয়েছে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল ওই কিশোরী। প্রথমে তাঁকে দমদম পুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ার পরে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ তাঁকে পরে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দমদম পুরসভার এক প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সচেতন করা হচ্ছে সকলকেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নানা তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। কোনওভাবে বাড়ির আশেপাশে যাতে জমা জল না থাকে সে ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। তবে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হয় পুরসভার তরফে।
কলকাতায় ডেঙ্গি
পুরসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা কলকাতা পুরসভার বেশি কয়েকটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। যার মধ্যে টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর, গড়িয়া, বাঁশদ্রোনি, বোরো নম্বর ১১ কসবা, আনন্দপুর, মুকুন্দপুর, এছাড়াও বেহালা, খিদিরপুর-মোমিনপুর, তোপসিয়া-তিলজলা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ১৪০০টি ডেঙ্গি সংক্রমণের খবর এসেছে। অগাস্ট মাসের শেষের দিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।