জেনে নিন তালিকা
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, প্রস্তাবিত নতুন ২৪টি হাসপাতালের বেশিরভাগই হবে মহকুমা এবং স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। মূলত আরও বেশি মানুষকে ফ্রি ডায়ালিসিস পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বিধাননগর ছাড়া আরও ২৩টি জায়গায় চালু হবে নিখরচায় ডায়ালিসিস পরিষেবা। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিভিন্ন জায়গার হাসপাতাল রয়েছে তালিকায়। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে যে হাসপাতালগুলির নাম উঠে আসছে সেগুলি হল, কালনা, ফালাকাটা, টিএল জয়সওয়াল, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন, নন্দীগ্রাম, ঘাটাল, খড়্গপুর, দিনহাটা,চাঁচল, সল্টলেক, হলদিয়া, ডোমকল, জঙ্গিপুর, শ্রীরামপুর, কালিম্পং, বনগাঁ, রঘুনাথপুর, ইসলামপুর, তেহট্ট, কান্দি, নয়াগ্রাম, বড়জোড়া ও কাকদ্বীপ।
এক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রাইভেট হাসপাতাল বা বেসরকারি জায়গায় ডায়ালিসিস বেশ খরচসাপেক্ষ। কিছু কিছু সেন্টার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার বিনিময়ে হেমোডায়ালিসিসও করে। কিন্তু সরকারি জায়গায় এই পরিষেবা মিলবে একেবারেই বিনামূল্য। এই প্রসঙ্গে স্টেট ডায়ালিসিস নেটওয়ার্কের অন্যতম মেন্টর তথা এনআরএস হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান ডাঃ পিনাকী মুখোপাধ্যায় সংবামাধ্যমতে জানান, মহকুমা ও সুপার স্পেশালিটি স্তরেও ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে পরিষেবা। যাতে মানুষ দিনদিন বাড়তে থাকা প্রাইভেটের চিকিৎসা খরচ থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পান।
জানা গিয়েছে, সল্টলেক মহকুমা হাসপাতালের আউটডোর ভবনের তিনতলায় পাঁচ শয্যাবিশিষ্ট ডায়ালিসিস ইউনিট গড়ে তোলা হবে। পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ১০ বেডের করার পরিকল্পনাও রয়েছে। চলতি বছরেই পরিষেবা শুরু করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ইউনিটটি যাতে প্রয়োজনে সিসিইউ রোগীদের জন্যও ব্যবহার করা যায়, সেভাবেই গড়ে তোলা হবে বলে জানান বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার।