এদিকে এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগে নিল বড় পদক্ষেপ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলায় নিয়োগ করা হতে চলেছে ১৭১৪ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। আর এই জন্য গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকের দফতরে তাঁর পৌরহিত্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী এবং অঙ্গনওয়াড়ি দফতরের আধিকারিক সহ জেলার শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তারা।
জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই ১৭১৪ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগ করা হতে পারে। তাঁদের মধ্যে ৮৪৭ কর্মী এবং ৮৬৭ পদে নিযুক্ত করা হবে জন সহায়িকা। যদিও নিয়োগের কাজ কবে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে পুজো। সেই সময় টানা বেশ কিছুদিন সরকারি ছুটি থাকে। স্বাভাবিকভাবেই সেই সময়টুকুর আগে বা পরে এই নিয়োগ করতে হবে।
যদিও নিয়োগ সংক্রান্ত তারিখ প্রসঙ্গে প্রশাসনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এই উদ্যোগ চালু হলে সংশ্লিষ্ট জেলায় কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছিলেন কর্মসংস্থানে তিনি বিশেষ জোর দেবেন। আর এই উদ্দেশ্যে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন তিনি। শিল্পে যাতে বিনিয়োগ আসে সেই জন্য খুব শীঘ্রই তিনি বিদেশে যাচ্ছেন। তাঁর সফরসঙ্গী হচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি সম্প্রতি অতীতে সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও জোর দিয়েছেন তিনি।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় নিয়োগের কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তৃণমূল সরকারের আমলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্যের সাম্প্রতিক সময়ে উঠে আসা নিয়োগ দুর্নীতিকে সামনে রেখে সরব হয়েছেন তাঁরা।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনাটিকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এই অবস্থায় নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করাই প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
উল্লেখ্য, পুজোর আগেই পঞ্চায়েতের সমস্ত স্তরেই যাবতীয় শূন্যপদ পূরণ করার জন্য পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার, সূত্রের খবর এমনটাই।