Governor Of West Bengal : রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত নামগুলিতে কেন সম্মতি নয়? ব্যাখ্যা আচার্য বোসের – c v ananda bose the governor of west bengal given reaction on interim vc recruitment


রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ইস্যুতে রাজ্যপাল ও শিক্ষা দফতরের সংঘাতকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই ইস্যুতে এবার আরও খোলসা করে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের সুপারিশ না মেনে এবং নিজে অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করার কারণ কী, এই প্রশ্নের উত্তরে এক সর্বভারতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যমকে রাজ্যপাল তথা আচার্য জানান, বিষয়টি উপাচার্যদের নিয়োগ করার নয়, মনোনীত করার। স্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ কেবলমাত্র ইউজিসি-র নিয়ম অনুযারী গঠিত সার্চ এবং সিলেকসান কমিটির দ্বারাই করা যায়। এই নিয়মই চালু রয়েছে।

কারণ জানালেন আচার্য

রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যের নিয়ম অনুসারে, রাজ্যপাল অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নিয়োগ করেন। সেক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। রাজ্য সরকার সেই সমস্ত অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নাম পাঠিয়েও দিয়েছে। কিন্তু আমি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সেই বিষয়ে খোঁজখবর নিই। আমি সেই সমস্ত ব্যক্তদের বিষয়ে (যাঁদের নাম রাজ্য পাঠিয়েছে) গোপনে খোঁজখবর নিই। তাঁদের মধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে নিজের ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। নিয়ম বলছে, উপাচার্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকটি মানদণ্ড পালন করা উচিত। আমি কোনও ব্যক্তিকে বেছে নেওয়ার আগে তাঁর যোগ্যতা, কতোটা উপযুক্ত, ইচ্ছা, একডেমিক যোগ্যতা, এবং আকাঙ্ক্ষা, এই বিষয়গুলি মাথায় রাখি। তাই মন্ত্রকের প্রস্তাবিত নামগুলি মেনে নিতে পারিনি।’

CV Ananda Bose : আচার্যের ভূমিকার প্রতিবাদ, রাজভবনের সামনে অবস্থান
আচার্য বলেন, ‘পরামর্শ মানে সম্মতি নয়। অতএব, আমি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অধ্যাপকদের তালিকার মধ্য থেকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেছি, তাঁদের যোগ্যতা এবং পছন্দের ভিত্তিতে। আর অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যদের প্রফেসর হতে হবে এমন কোনও শর্ত নেই। সেটাকেই কলকাতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল শিক্ষা দফতর। হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে বলেছে যে, আচার্যের পদক্ষেপ সঠিক এবং বৈধ। তারা বলছে (রাজ্য সরকার) আচার্য ক্ষমতা লঙ্ঘন করেছেন, এমন কথাও ঠিক নয়। এটা আইনত ঠিক নয়।’

CV Ananda Bose : ‘শেষ অবধি লড়ব…’, মমতাকে বোসের পালটা! বাংলায় ভাষাতেই বিস্ফোরক বিবৃতি রাজ্যপালের
প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে গত শুক্রবার থেকে নতুন করে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষামন্ত্রী ও আচার্যের এসেছে প্রতিক্রিয়া-পালটা প্রতিক্রিয়া। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মধ্যরাতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দিতে শোনা গিয়েছে রাজ্যপালকে। এমনকী মধ্যরাতে ২টি ‘গোপন’ চিঠিতে সইও করেছেন তিনি। তার মধ্যে একটি নবান্নর জন্য, অপরটি দিল্লির জন্য। যদিও সেই চিঠিগুলিতে কী লেখা রয়েছে সেই বিষয়ে অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *