শুক্রবার থেকে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রানিনগর। শনিবার পর্যন্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি। গতকাল ৩৬ জনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। কুদ্দুস আলি সহ চারজনের দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশের পাশাপাশি বাকিদের চোদ্দ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে রবিবার আরও ২৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের আতঙ্কে ঘর ছাড়া বাম কংগ্রেসের বহু নেতা কর্মী। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার রয়েছে পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন। ভোটাভুটিতে থাকতে পারছেন না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন নির্বাচিন সদস্য। ফলে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি কার্যত হাতছাড়া হতে বসেছে বাম কংগ্রেস জোটের হাত থেকে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি চিঠিতে পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচিত সদস্যদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রানিনগর-২ ব্লকের কাতলামারিতে অধীর চৌধুরীর জনসভা ছিল। সভা শেষে উত্তেজিত কংগ্রেস সমর্থকরা রানিনগর থানায় ঢুকে অবাধে ভাঙচুর চালায়। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে জিনিসপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। অধীরের অবশ্য দাবি, যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত। তবে পুলিশ ও শাসক দলের প্ররোচনায় এই ঘটনা ঘটেছে।