কী ঘটনা ঘটেছিল?
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,গতকাল রাতে পান্ডুয়ার জয়পুরের জিটি রোডের ধার থেকে বছর ১৯ এর এক তরুণীকে নিজের গাড়িতে জোর করে তুলে নেন অভিযুক্ত।প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিমলাগড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। তরুণীর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা পৌঁছে যায়। তাকে উদ্ধার করে পুলিশ ডাকে। কাছেই টহল দিচ্ছিল পান্ডুয়া থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পান্ডুয়ার কোটালপুকুর এলাকার তৃণমূল যুব নেতা সেখ মোমিন। খীরকুন্ডি নিয়ালা নামাজ গ্রাম অঞ্চল সভাপতি সে। জয়পুর এলাকায় বাড়ি তরুণীর।মোমিনকে গ্রেফতার করে গাড়িটিকে আটক করেছে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ
তরুণীর দাদু বলেন,আমি বাড়িতে ছিলাম।পাড়ার একটি ছেলে এসে ডেকে বলল থানায় যেতে।থানায় গিয়ে দেখি নাতনি বসে আছে।ঘটনা শুনে অফিসারকে বললাম যা করলে ভালো হয় করুন। তরুণীর দাদুর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সেখ মোমিন হোসেনকে গ্রেফতার করে পান্ডুয়া থানার পুলিশ।আজ তাকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হয়। পান্ডুয়ার প্রাক্তন বিধায়ক সিপিএম নেতা আমজাদ হোসেন বলেন,তৃণমূল যুব নেতা একটি মেয়েকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকার লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে। পুলিশ খবর পেয়ে খুব ভালো কাজ করেছে।মেয়েটিকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
তৃণমূলের বক্তব্য
তৃণমূলের পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ বলেন,’কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। মোমিন বছরখানেক আগে যুব সভাপতি হয়েছে। ওকে দল বহিষ্কার করবে।’ অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি, ‘তিনি নির্দোষ তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আর এই কাজ করেছেন আমজাদ হোসেন।’
আমজাদ বলেন,’ওরা সারা রাত মেয়েটির পরিবারকে অভিযোগ করা থেকে বিরত করতে চেষ্টা করেছে। ভয় দেখিয়েও তা পারেনি। তরুণীর পরিবার অভিযোগ করেছে। পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এখন বাঁচার জন্য এসব বলছে। আসলে দুষ্কৃতীরা এখন তৃণমূল নেতা হয়েছে।’ সভাপতি হওয়ার পরই মোমিন খীরকুন্ডির এক ব্যাক্তির দোকান জোর করে দখল করে পার্টি অফিস করেছিল বলে অভিযোগ। গ্রেফতার হতেই সেই দোকান পুনরুদ্ধার করেন সুব্রত বর্মন।