রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে বরাবরই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে বাঁকুড়া জেলার। আর সেই বাঁকুড়ার ছাতনার অন্যতম পর্যটনস্থল শুশুনিয়া খুঁটি পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে গেল দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। সূচনা হল শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির ১৫তম বর্ষের পুজোর প্রস্তুতি। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই পুজো কমিটি অভিনব থিম তথা ভাবনার মধ্য দিয়ে জেলাবাসীকে সুস্থ সামাজিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছে। এর আগে ২০১৯ সালের থিম ‘গ্রাম্যজীবন’, ২০২১ সালের থিম ‘বৃদ্ধাশ্রম’ এবং ২০২২ সালের ভাবনা ‘মাতৃঋণ’ সমগ্র জেলাবাসীর নজর কাড়ে। শুধু তাই নয়, এই তিন বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানে প্রথম স্থানও অধিকার করে এই পুজো।
অতীতেও দারুণ থিম এই কমিটির
উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, এই বছরের থিমেও থাকবে চমক। তবে এই বছর মণ্ডপ সজ্জা ও থিমের রূপায়ন পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়েই করা হচ্ছে বলে জানান শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির সভাপতি মিলন চৌধুরী। সেক্ষেত্রে বাঁশ, মাটি, খড়, সুতলি, খবরের কাগজের মতো পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী দিয়েই পুজো উদ্যোক্তারা মণ্ডপ সাজাতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এবছর চতুর্থীতে হবে পুজোর উদ্বোধন। দর্শনার্থীদের জন্য ওই দিনই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে বলে জানান পুজো কমিটির এক সদস্য।
শহরকে টেক্কা দিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে শুশুনিয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির মণ্ডপ নির্মাণের প্রস্তুতি। তবে এবারে এই কমিটির থিম কী, সেই বিষয়ে এখনই খোলসা করে কিছু বলতে চাইছেন না। সুতরাং এই কমিটি এবার কী চমক আনতে চলেছ, তা জানতে গেলে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতেই হবে।
পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা
এদিকে প্রতিবছরই বহু মানুষ বাঁকুড়ায় যান পর্যটনের উদ্দেশে। অনেকেই পুজোর ছুটিতেও যান এই জেলায়। আর বাঁকুড়ার পর্যটনক্ষেত্রগুলির মধ্যে বরাবরই অন্যতম আকর্ষণ শুশুনিয়া পাহাড়। তবে অনেকেই আবার পুজোর সময় কলকাতা ছেড়ে জেলা বা গ্রামে যেতে চান না, কারণ তাঁদের যুক্তি থাকে, কলকাতার পুজোর ভাইবস বাইরে গিয়ে পাওয়া যাবে না। সেই দিক থেকে বলা যেতে পারে, পর্যটকদের জন্য এবার বাঁকুড়ার শুশুনিয়া অঞ্চলে থাকছে বাড়তি পাওনা। অর্থাৎ ‘রথ দেখা কলা বেচা,’ থুড়ি ঘোরাফেরা ও ঠাকুর দেখা দুই-ই হবে।