চেয়ারম্যান আশ্বাস দিলেও এডিডিএ-র অভ্যন্তরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করছেন অনেকেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদারের অভিযোগ, ‘৪৩ লাখ টাকার কাজ হয়নি। মেরামতের নামে রাস্তার ভাঙা অংশে তাপ্পি দেওয়া হয়েছে। তাও অত্যন্ত নিম্নমানের। যার ফলে বৃষ্টি হতেই তাপ্পি দেওয়া জায়গায় বিটুমিনের আস্তরণ উঠে গিয়ে পাথর বেরিয়ে এসেছে।’
গ্যামন ব্রিজ থেকে রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুক হয়ে মায়াবাজার দিয়ে গান্ধীমোড় পর্যন্ত রাস্তাটি হ্যানিম্যান সরণি। পুরসভার ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ এই রাস্তা ব্যবহার করেন। এই রাস্তা ধরেই রাতুড়িয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকে যাতায়াত করে পণ্যবাহী ট্রাক ও ট্রেলার। মানুষের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই বছরখানেক আগে সারাই করা হয়েছিল সেই রাস্তা।
কিন্তু এবার বর্ষায় তা ফের ভরে গিয়েছে খানাখন্দে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বাপ্পা অধিকারী বলেন, ‘রাস্তার গর্ত থেকে ক্রমশ পাথর বেরিয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়েছে। টু’হুইলার চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। যে কোনও সময়ে স্কিট করে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাতে গাড়ি চালাতে খুবই অসুবিধা হয়।’ বিজয় শর্মা নামে আর এক ব্যক্তির বক্তব্য ‘হ্যানিম্যান সরণি দিয়ে নিয়মিত গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করি। অবিলম্বে রাস্তার গর্তগুলি মেরামত করা প্রয়োজন।’