প্রতি রবিবার করে শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ স্কুলে চলত এই চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র। বর্তমানে সেখানে ৭০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েনছে। রঞ্জন দাস সরকারি চাকরির প্রস্তুতির ক্ষেত্রে তাঁদের ফ্রেন্ড, ফিলোজফার এবং গাইড হয়ে ওঠেন কিছু দিনেই। নিজে পড়ানোর পাশাপাশি তাদের সব রকম সাহায্য করতেন ওই পুলিশ আধিকারিক করতেন। সম্প্রতি চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের কর্মরত আধিকারিকদের বদলি হয়। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির অফিসার রঞ্জনকেও বদলি করা হয় চুঁচুড়ায়।
রঞ্জনের বদলির পরই বাঁধে বিপত্তি। কোচিং সেন্টারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। এমনকী ওই কোচিং সেন্টারটি বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তখনই বাধ্য হয়ে চন্দনগর পুলিশ কমিশনারেটের দ্বারস্থ হন পড়ুয়ারা। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ২ (শ্রীরামপুর) এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন পড়ুয়ারা। তাতে আবেদন করা হয় যাতে প্রস্তুতি কেন্দ্রটি বন্ধ না হয়ে যায়। তাঁদের দাবি, রঞ্জনবাবু যেন কোচিং সেন্টারটি দেখেন। বৈদ্যবাটি পুরসভার তরফেও পুলিশের কাছে একই আবেদন জানানো হয়েছে।
বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, ‘মাধ্যমিক পাশ ছেলে মেয়েরা চাকরির কোচিং নিত। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে শিক্ষককের বেতনটা দেখতাম। গোটা ব্যবস্থাটাই রঞ্জন করত। কয়েকজন চাকরিও পেয়েছে এখান থেকে। এখন অফিসার বদলি হয়ে যাওয়ায় সেন্টারটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিধায়ক ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব যাতে কোচিং সেন্টার চলে।’ অন্যদিকে চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, এই কোচিং সেন্টার বদল করা হবে না। যে অফিসার বদলি হয়ে আসবেন, তিনি দেখবেন। পড়ুয়াদের এই নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
