মূলত তাঁদের সমস্যার কথা চিন্তা করে শনি ও রবিবার-সহ সব ছুটির দিনে পঞ্চায়েত খোলা রাখা হবে। যাতে এলাকার মানুষ ছুটির দিনেও তাঁদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা পঞ্চায়েত থেকে পেতে পারেন, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত। মালবিকার কথায়, ‘এলাকায় এই ধরনের সমস্যা প্রায়ই দেখা যায়। অনেক সময় প্রয়োজনীয় নথি পেতে দেরি হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় সরকারি বেসরকরি কাজে যুক্ত গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের কথা মাথায় রেখে এলাকার এই কাজ করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের অন্য সদস্যরাও এই কাজে মত দিয়েছেন।’ ছুটির দিনেও পঞ্চায়েত অফিস খোলা রাখার পাশাপাশি তিনি নিজেও উপস্থিত থাকবেন বলে জানান মালবিকা।
প্রধান জানান, মোহনপুর পঞ্চায়েত শনিবার, রবিবার ও অন্য ছুটির দিনেও খোলা থাকবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পঞ্চায়েত অফিসের কাজ হবে। পঞ্চায়েত অফিসে এসে এলাকার মানুষ তাঁদের প্রয়োজনীয় নথি যেমন জন্ম, মৃত্যুর শংসাপত্র, ট্যাক্সের রশিদ-সহ অন্য নথিও নিতে পারবেন। ফলে সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের যাঁরা এলাকায় থাকেন না তাঁদের কাজের দিনে ছুটি করে আর পঞ্চায়েতে আসতে হবে না।
এলাকার বাসিন্দা নিরুপম গাইন বলেন, ‘সপ্তাহে শুধুমাত্র রবিবার ছুটি পাই। সেই দিন পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ থাকার ফলে আমাদের পঞ্চায়েতের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সমস্যা হতো। এ বার থেকে প্রধান ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে নিজে উপস্থিত থাকছেন। এতে আমাদের প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করতে সুবিধা হবে। তাঁর এই উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানাই।’