কী কী থাকছে?
অভিনব লুক দেওয়া হয়েছে শৌচালয়টিকে। সেক্ষেত্রে দূর থেকে দেখলে কারও কারও সেটিকে ক্যাফে বা রেস্তোরাঁ বলেও মনে হতে পারে। শহরের অন্যান্য সুলভ শৌচালয়ের দরজাগুলির থেকে এখানকার দরজাটিও আলাদা। শহরের অন্যান্য সুলভ শৌচালয়গুলিতে সাধারণত পিভিসি-র দরজা দেখা যায়। তবে এই শৌচালয়ের একতলায় রয়েছে কাচের দরজা। তবে এই দরজাটি শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য। অন্যদিকে মহিলাদের জন্য সুন্দর সিঁড়ি রাখা হয়েছে। শিশুদের দেখাশোনার জন্য এক কোণে রাখা হয়েছে একটি জায়গা। স্নানঘরের পাশাপাশি মহিলাদের জন্য থাকছে একটি চেঞ্জিং রুম। মহিলা জোনে বসানো হয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের ভেন্ডিং মেশিন। শৌচালরে বাইরের অংটি লোহা দিয়ে তৈরি কর হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সন্দীপ দাস জানান, নাগরিকদের ভাল সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি, বিল্ডিংটিকে সুন্দর রূপ দেওয়ার জন্য শিল্পীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অন্যদিকে ফিউচার ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রিন্সিপাল রঞ্জন মিত্তর বলেন, ‘কলকাতা পুরসভার নেওয়া এত ভাল উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা খুবই খুশি। যাঁরা দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন, তাঁদের জন্য এই ধরণের শৌচালয় খুবই প্রয়োজনীয়। এত সুন্দর শৌচালয়ের সৌন্দর্য ধরে রাখা আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। আমার আশা করছি ব্যবহারকারীরাও সহযোগিতা করবেন।’
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, ৭৫টি মডেল শৌচালয় তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারমধ্যে এটিই প্রথম। বাকিগুলির জন্য শহরে জমির চিহ্নিতকরণও হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গোটা শহরে এই ধরণে মোট ১০০টি শৌচালয় হবে বলে জানান স্বপন সমাদ্দার। প্রসঙ্গত, শহর কলকাতাকে আরও ভালো করে সাজাতে ও মানুষকে আরও উন্নত পরিষেবা দিতে একের পর এক পদক্ষেপ করে চলেছে পুরসভা। সেক্ষেত্রে এই ধরণের শৌচালয়ের ফলে মানুষ আরও বেশি করে উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।