আদালতে কংগ্রেস
রানিনগর নিয়ে সোমবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল কংগ্রেস। রানিনগরে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে বাধা এবং কংগ্রেস নেতা কর্মীদের গ্রেফতারির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় কংগ্রেসের তরফে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাধা প্রদানে অভিযোগ করা হয়। আজকেই রানিনগর পঞ্চায়েত স্থায়ী সমিতির সভা হওয়ার কথা ছিল।
অধীর চৌধুরীর বক্তব্য
রানিনগর -২ পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মানুষের মতামতকে পদ দলিত করে এমন দল তৃণমূল। সব খেয়েও পেট ভরে না। ঝালদা দখল করবে আবার পদ্মা পাড়ের এই একটি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে।’ এটা দখল না করলে কি তৃণমূল রাজ্য থেকে উঠে যেত? বলেন প্রদেশ সভাপতি। তৃণমূল সুপ্রিমো মোদির সঙ্গে নৈশভোজ করছেন আবার ইন্ডিয়া জোট বলে চিৎকার করছেন। নিজেকে বাঁচানোর জন্যই এসব করছেন বলে তাঁর মত।
কংগ্রেসের অভিযোগ
জমা গিয়েছে, রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন সংখ্যা আছে ২৭টি। এর মধ্যে সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে পিছিয়ে যায় তৃণমূল। মোট আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১৩টি আসন। বাম–কংগ্রেস জোটের দখলে যায় ১৪টি আসন। তবে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের দুদিন আগেই দুই সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে। কংগ্রেস কর্মীদের ভয় দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ করা হয়।
রানিনগর অশান্তি
গত শুক্রবার রাতে অশান্ত হয়ে ওঠে রানিনগর থানা এলাকা। অধীর রঞ্জন চৌধুরীর একটি সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই এলাকায়। এরপরেই রানিনগর থানায় চড়াও হয় কংগ্রেস কর্মীরা। থানায় ভাঙচুর, রাস্তায় অগ্নি সংযোগের অভিযোগ ওঠে। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনায় পঞ্চায়েতের সভাপতি সহ প্রায় ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। থানায় অশান্তির ঘটনায় ক্ষমা প্রকাশ করেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
কংগ্রেস-তৃণমূল দ্বন্দ্ব
রানিনগর পঞ্চায়েত স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে তৃণমূল ও কংগ্রেসের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। কংগ্রেসের তরফে তৃণমূলের জোর খাটানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করতে কংগ্রেস পঞ্চায়েত সভাপতিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। থানায় অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনজন কংগ্রেস সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন স্থায়ী সমিতি গঠনের আগেই। তৃণমূলের উপর বলপ্রয়োগ করার অভিযোগ ওঠে এখানেই।