সন্দীপ প্রামাণিক: ‘অন্যায় কাজ করলে তো মানুষ রাগ করবেই’। আদালতে কলার ধরে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত এক পড়ুয়ার পিঠে চাপড়! দুই মহিলা আইনজীবীর ‘কীর্তি’তে শোরগোল।
আরও পড়ুন: Abduction: খাস কলকাতায় ফিল্মি কায়দায় অপহরণ! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার পড়ুয়া…
যাদবপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে মৃত্যু প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার? যাঁরা দোষী, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। কমিটির মতে, ‘ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর সঙ্গে র্যাগিংয়ের সঙ্গে যোগ রয়েছে’।
এদিকে যাদবপুকাণ্ডে তদন্তভার নিয়েছে কলকাতা পুলিসের হোমিসাইড শাখা। গঠন করা হচ্ছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা SIT। শুধু তাই নয়, এই মামলা যোগ করা হল পকসো আইনের নতুন ধারা। আজ, সোমবার ধৃত ১২ পড়ুয়াকে পেশ করা হয় আলিপুর আদালতে।
কোর্ট লক-আপ থেকে ধৃতদের তখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল পকসো আদালতে। অভিযোগ, আচমকাই এক পড়ুয়ার কলার টেনে ধরেন দুই মহিলার আইনজীবী। এমনকী, চাপড়ও মারা হয় তাঁর পিঠে! কেন? অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি, ‘অন্যায় কাজ করলে তো মানুষ রাগ করবেই। আমার ছেলে যদি এরকম করত, আমি তুলে দিয়ে আসতাম। আইন যা করবে, ভিতরে ওকে যদি যাবজ্জীবন শাস্তি যা করে, করুক’।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী নিশ্চয়ই দেখবেন’, অঝোরে কাঁদলেন বিচারপতি গাঙ্গুলি!
এই ঘটনার অবশ্য তীব্র বিরোধিতা করেছেন আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, ‘ধরে নেওয়া যায়, প্রত্যেক অভিযুক্তই কিন্তু নির্দোষ। ভারতবর্ষের আইন বলছে। আইনকে আইনের পথে চলে দেওয়াটা ভারতবর্ষের সংবিধানে আছে। বিচারাধীন বন্দি পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে থাকে। তাকে কোনওভাবে নিগ্রহ করা, এটাও কিন্তু দণ্ডনীয় অপরাধ’। জানান, ‘আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে। কারণ, মানুষ যখন বিচারাধীন বন্দি থাকে, তখন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকে। আইনত এখন তার অভিভাবক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা আদালত’।