Bankura Bjp MP : ‘স্বৈরতন্ত্র-একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন সুভাষ সরকার! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘরে বন্দি করলেন দলেরই ‘বহিষ্কৃত’রা – bankura bjp worker agitating against mp subhas sarkar


দল থেকে ‘বহিস্কৃত’দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরের নতুনগঞ্জে দলের জেলা দফতরে গেলে তাঁকে দরজা বন্ধ করে রাখা হয়। এমনকী ‘সুভাষ সরকার গো ব্যাক’ স্লোগানের পাশাপাশি, দলের জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল ভিতরে ঢুকতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। আর এই ঘটনার পিছনে দলের সদ্য বহিস্কৃত নগর যুব মোর্চার সভাপতি মোহিত শর্মা, বাঁকুড়া বিধানসভার আহ্বায়ক কৌশিক সিনহা ও রাজ্য যুব মোর্চার সদস্য রিকু শর্মা এবং তাঁদের অনুগামীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ।

বিক্ষোভকারীদের কী অভিযোগ?
এই বিষয়ে মোহিত শর্মার বলেন, ‘আমরা বহুদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকরতা হয়ে কাজ করে এসেছি। আমরা যারা কাজ করে এসেছি, তাদের বসিয়ে রেখে, সংগঠনের বেহাল দশা করে রেখেছেন। পঞ্চায়েতে এই ফল দেখে দুঃখের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছি, তার জন্য আমাদের ৩ জনকে একসঙ্গে শোকজ করা হয়েছে। ওরা একনায়কতন্ত্রভাবে গোটা জেলাটাকে পরিচালনা করছে। সুভাষ সরকার একনায়কতন্ত্র করে গোটা জেলাকে পরিচালনা করছে। যে সমস্ত কার্যকর্তারা চামচার মতো তাঁর গাড়ির দরজা খুলে দেবেন, ছবি তুলবেন, তাঁদের তিনি জেলা কমিটিতে রেখেছেন।’

Chandra Kumar Bose BJP : গেরুয়া শিবিরে ধাক্কা’! BJP ছাড়লেন নেতাজির পরিবারের সদস্য
পঞ্চায়েত নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের জন্যও সুভাষ সরকারকে দায়ী করেন বিক্ষোকারীরা। তাঁদের দাবি, ২০২৪ সালে যেন সুভাষ সরকারকে আর প্রার্থী না করা হয়। তাঁরা আরও মনে করছেন এই জেলা সভাপতিকে দিয়ে সংগঠনকে মজবুত করা যাবে না। এক্ষেত্রে সুভাষ সরকারেরা তৃণমূলের সঙ্গে ‘সেটিং’ করে রয়েছেন বলেও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

অপর এক বিক্ষোভকারীর অভিযোগ, ‘বিগত সারে চার বছর ধরে এই ধরণের স্বৈরতন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজের লোক বাদ দিয়ে, ওঁর (সুভাষ সরকারের) চামচা কেউ হতে পারলে তাকে তিনি জায়গা দেবেন। বাঁকুড়ার মানুষ ওঁর প্রতি বিতশ্রদ্ধ। মানুষ ওঁর প্রতি ক্ষেপে আছেন।’

Jiban Singha KLO : ‘বাই হুক অর বাই ক্রুক, গ্রেটার কোচবিহার হবেই!’ কেন্দ্রকে চরম হুঁশিয়ারি KLO প্রধান জীবন সিংহের
পালটা জেলা সভাপতির দাবি…
অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলার বিজেপি সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডল অবশ্য বিক্ষোভকারীদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘এরা (বিক্ষোভকারীরা) তৃণমূলের দুষ্কৃতী। এদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এরা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজেপির ক্ষতি করতে চাইছে।’ খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গিয়ে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলাজুড়ে। এখন দেখার কী পদক্ষেপ করে বিজেপি নেতৃত্ব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *