গুরুসদয় রোডের সেই আবাসনের সামনে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। তাঁর দাবি, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি এই গাছ কাটার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। একটা গাছ কাটা হলেও আরও ১০০টি গাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি জানান, কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এই নিয়ে তাঁর কথা হয়েছে। মেয়র এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে চরমে উঠেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। আক্রমণ ও পালটা আক্রমণ রাজভবন ও নবান্নের মধ্যে এখন রোজকার বিষয়। সংঘাতের এই আবহে রাজ্যপালের সুর অনেকটাই নরম ছিল। রাজ্যপাল বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করলে তবেই সাফল্য আসবে। আমরা একসঙ্গে কাজ করলে উন্নতি হবে। সাধারণ মানুষের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করলে সাফল্য অর্জন করা যায়।’
এদিন স্থানীয়দের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলে রাজ্যপাল। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন রাজ্যপাল। স্থানীয় বাসিন্দারা রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, গাছ কাটার কথা তাঁরা কলকাতা পুরসভার উদ্যান বিভাগের ডিজিকে জানিয়েছেন। কিন্তু পুরসভার তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বন দফতরের লোকজন এসে গাছ কাটা বন্ধ করে দেয়। রাজ্যপাল এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বাস দিয়েছেন ছে আরও গাছ লাগানো হবে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়ে তুঙ্গে রাজ্যপাল সংঘাত। শিক্ষামন্ত্রীর পার রাজ্যপালকে বেনজিরভাবে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যপালকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা এটা কোনওভাবে হতে দেব না। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের কথা শুনে চলবে সেখানে আমি অর্থনৈতিক বাধা তৈরির করব। এই ক্ষেত্রে একদম টিট ফর ট্যাট। দরকার হলে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসব।’ অন্যদিকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রতিবাদের জন্য রাজভবনের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত… আমি যা করেছি তাতে আমি খুশি।’