উল্লেখ্য, স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় একটি বারোয়ারি দুর্গা পুজো বহুবছর ধরে হয়ে আসছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকারই কিছু যুবক মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দুর্গা পুজোর অনুদানের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সেই দুর্গা পুজোটিকে একটি ক্লাবের দুর্গাপুজো হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। অভিযুক্তরা প্রথমে বিজেপি দল করলেও পরবর্তী সময়ে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করে বলে অভিযোগ।
বিগত বছরে ওই যুবকেরা দুর্গাপুজোর হিসেব ঠিকমতো না দেওয়ায় ক্ষোভ জন্মায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। পরবর্তী সময়ে তারা পুজোর হিসেব চাইতে গেলে গ্রামবাসীদের ওপরে চড়াও হয় তারা বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। এর আগেও একাধিকবার গ্রামবাসীদের মারধর করা হয় বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।
সোমবার পুনরায় স্থানীয় দুই বাসিন্দাকে মারধর করে অভিযুক্ত ওই যুবকেরা। তাদের বাধা দিতে গেলে আহত হয় স্থানীয় কিছু মহিলা সহ আরও কয়েকজন গ্রামবাসী। গোটা ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। সোমবার রাতেই দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে রায়গঞ্জ থানার পুলিশের দ্বারস্থ হয় স্থানীয় বাসিন্দারা।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আগে বারোয়ারী দূর্গা পুজো হত। কিন্তু সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া কিছু যুবক মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া দুর্গা পুজোর অনুদান হাতিয়ে নেওয়ার জন্য একটি ক্লাবের নাম দিয়ে এই পুজোটি কার্যত দখল করে নিয়েছে। গত বছরের পুজোর হিসেব চাইতে গেলে তারা গ্রামবাসীদের ওপরে চড়াও হয়। মারধর করা হয় একাধিক গ্রামবাসীদের। আহত হন অনেকে। আহতদের মধ্যে একজন রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।