জানা গিয়েছে ব্যান্ডেলের গোপীনাথপুর কলোনি এলাকার বাসিন্দা হাওড়ার রামরাজাতলা আইটিআই কলেজের ছাত্র। মঙ্গলবার লোকাল ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশনে ফেরার সময় ভিড়ের চাপে ভিতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। ট্রেনের কামরায় প্রচণ্ড ভিড় থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন সাধন। দাসনগর স্টেশন ঢোকার মুখে ট্রেনটি বাঁক নেওয়ার পথেই বৈদ্যুতিক পোস্টে ধাক্কা লাগে পড়ুয়ার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গেই ট্রেনের কামরার ভিতরেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সাধন। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় বন্ধুরা তাঁকে প্রথমে টিকিয়াপাড়া রেল হাসপাতালে নিয়ে যানা। পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ।
ট্রেনে উঠতে গিয়ে কাটা গেল ছাত্রীর পা
এর আগে গত ৭ তারিখ পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ট্রেনে ওঠার সময় পড়ে দুই পা কাটা যায় এক ছাত্রীর। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার পলতায়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ওই ছাত্রী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম সুনীতা বর্মা। তিনি মহাদেবানন্দ মহাবিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্রী। ওই দিন সকালে পলতা স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ট্রেন স্টেশনে ঢুকতেই ওঠার চেষ্টা করেন ওই ছাত্রী। ভিড়ের কারণে ট্রেনে ওঠার সময় পা ফসকে পড়ে যান তিনি। পা আটকে যায় স্টেশন এবং ট্রেনের মাঝে। প্রচণ্ড যন্ত্রণায় আর্তনাদ শুরু করেন ওই ছাত্রী। তড়িঘড়ি ছাত্রীকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারে বাদ দেওয়া হয় তাঁর দু’টি পা।
এদিকে সোমবার ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে দেখতে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত থেকে হাসপাতালে চলে যান ওই ছাত্রীর কাছে। চিকিৎসাধীন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কথা বলেন আহতের পরিবারের সঙ্গেও। সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি বিচারপতি। ছাত্রীকে সবরকম ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান বিচাপতি গঙ্গোপাধ্যায়।