কেন মারধর?
জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ইংরেজি ক্লাস চলছিল। ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ক্লাস চলাকালীন পিছনের বেঞ্চে বসা এক ছাত্র অমনযোগী থাকায় প্রসেনজিৎ বিশ্বাস তাকে বকাঝকা করেন। ছাত্রকে ওঠবস করার নির্দেশও দেন ওই শিক্ষক। যদিও ওই ছাত্র শিক্ষকের নির্দেশ অমান্য করে বসে থাকে। সূত্রের খবর, এরপর ওই শিক্ষক ছাত্রকে কানমলা দিলে সে বেঞ্চ থেকে এসে ওঠবস করে।
এদিকে ক্লাস শেষে শিক্ষক বেরিয়ে যাওয়ার পর ওই ছাত্র স্কুলের বাইরে গিয়ে তার অভিভাবকে বিষয়টি জানায়। অভিযোগ, এরপরেই ওই ছাত্রের অভিভাবক দলবল নিয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে ব্যাপক মারধর করে। এদিকে শিক্ষককে মারধরের ঘটনা ধরা পড়ে যায় সিসি ক্যামেরায়। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিবাদ মুখর হন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য অভিভাবকরা। দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তাঁরা। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে খবর আক্রান্ত শিক্ষক ৪ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ২ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি ২ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
আগেও এই ধরণের ঘটনা
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে এই ধরণের একটি ঘটনা ঘটে বীরভূমে। ঘটনাটি ঘটে, বীরভূমের বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের পাড়ুই থানার কসবা পঞ্চায়েতের বাঁধ নবগ্রাম গান্ধী বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ, ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার স্বামীর হাতেই প্রহৃত হন স্কুলের এক শিক্ষক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তম সাহা নামে এক শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ ওঠে ওই স্কুলেরই শিক্ষিকা শিখা দাসের স্বামী বাসুদেব দাসের বিরুদ্ধে। জানা যায়, শিখা দাসের মেয়ে ওই স্কুলেই পড়াশোনা করে। কিন্তু সে পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। সেই ঘটনাতেই উত্তম সাহাকে স্কুলে একা পেয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।