এ দিনের বৈঠকে ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার ধর্মেন্দ্র সাউ এবং নীতিন ব্যাস জানান, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে যে সব নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। কমিশনের নির্দেশ যেন কোনও ভাবেই লঙ্ঘন না-করা হয়। ভোটার তালিকা সংশোধনের পর আগামী ১ নভেম্বর সংশোধিত ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করা হবে।
২০২৪-এর ৫ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে, এমনটা ঠিক আছে। ভোটার তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে অভিযোগের আঙুল তুলতে না-পারে, সেই ব্যাপারে সতর্ক হয়ে এগোতে হবে। বুথগুলোকে এখনই চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। সেখানকার সুবিধে-অসুবিধেগুলো সরেজমিনে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটের দিন ঘোষণার পরেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে শুরু করবে।
ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এর আগে একাধিক বার সরব হয়েছে বিরোধীরা। তারা ভোটার তালিকায় মৃতদের নাম ঢুকেছে বলেও অভিযোগ করেছে। তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে কোনও ত্রুটি থাকলে, তার দায় কমিশনের। আমরা চাই, ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত হোক।’ সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, ‘ভোটার তালিকায় কারচুপির সঙ্গে বিডিও এবং এসডিও-দের একাংশ সরাসরি যুক্ত। কমিশন ব্যবস্থা নিলে আমরা স্বাগত জানাব।’