এর আগে সোমবার নিজের সফরসূচি নিয়ে বিস্তারিতবাবে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার আমরা রওনা দেব, সেদিন আমাদের দুবাইতে থাকতে হবে। কারণ সেখান থেকে স্পেনে যাওয়ার মতো ফ্লাইট নেই। এরপর বুধবার পৌঁছনোর কথা মাদ্রিদ। সেখানে বেশ কিছু শিল্প সম্মেলন রয়েছে। ৩ দিন থাকব মাদ্রিদে। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে যাব বার্সেলোনা। সেখানে ২-৩ দিনের বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে। দেখা হবে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। সেখান থেকে আবার দুবাইতে ফিরে আসব। সেখানেও শিল্প সম্মেলন রয়েছে। দেড় দিন দুবাইতে থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর আমার কলকাতায় ফিরব।’
তিনি না থাকাকালীন রাজ্যের প্রশাসনিক কাজকর্ম কী ভাবে চলবে তারও একটি রূপরেখা তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ‘এই ক’দিন থাকছি না, বর্ষা চলছে, সেই কারণে নেওয়া হবে বাড়তি সতর্কতা। মুখ্যসচিবও আমার সঙ্গে যাবেন। সেই কারণে মিটিং করে সবাইকে কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি। এই ক’দিন সমস্ত দায়িত্ব স্বরাষ্ট্রসচিবের উপর থাকবে। সবাই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন। তবে সবটা এখনই বলছি না। তাহলে আর চমকের কী থাকবে!’ এদিন অবশ্য চমক প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘চমক তো কনফারেন্সে হয়। কনফারেন্সে এসে ওরা ঘোষণা করে। কিন্তু প্রদীপ জ্বালবার আগে তো প্রদীপে তেলটা ভরতে হবে, সলতেটা ভরতে হবে, সেই জন্যই যাওয়া।’
প্রসঙ্গত এই সফরে ফুটবলকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। কলকাতার প্রধান ৩ ক্লাব, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল ও মহমেডানের ৩ প্রতিনিধিও মুখ্যমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হয়েছেন। এছাড়া এই সফরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিনিয়োগ টানতে বছর বছর বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। এই সফরেও বাণিজ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বলে মনে করা হচ্ছে।