সম্প্রতি নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে করম পুজো ও সবেবরাতে ছুটি ঘোষণার কথা জানিয়েছিলেন মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান এতদিন সবেবরাত এবং করম পুজোতে সেকশনাল ছুটি ছিল। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির সরকারি কর্মীরা সেদিন ছুটি পেতেন। এখন থেকে সব সরকারি দফতরের কর্মীরাই করম পুজোর দিন ছুটি পাবেন বলে জানা গিয়েছে। নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘সবেবরাত ও করম পুজোয় ছুটি সরকারের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। সেই দাবি মেনে নেওয়া হল।’
এবার ২৫ সেপ্টেম্বর পড়েছে করম পুজো। গ্রামবাংলায় বিভিন্ন অংশে উদযাপিত হয় করম পুজো। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে এই পুজো পালনের জন্য মানুষের উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো। মূলত বিভিন্ন জনজাতির সদস্যরাই এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। জানা গিয়েছে ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশীতেই হয় এই বিশেষ পুজো। করম গাছের ডালে ভগবানের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। গোটা জঙ্গলমহলে মহাধুমধামে এই পুজো পালন করা হয়। সেই কারণেই সরকার এই বিশেষ দিন ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বলেন, ‘বাংলায় সব উৎসবকে সমান গুরুত্ব দেওয়া গয। সেই কারণে রঘুনাথ মুর্মু থেকে পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সব ধর্মকর্ম এবং সব কিছুর মিলনস্থল হল বাংলা। সেই কারণে এই দু’দিন ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, এদিনই বিনিয়োগ টানতে স্পেনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু দফতরে রদবদল করা হয়েছে। এদিন বেশ কিছু জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে বদলি করেছে নবান্ন।
