জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অতি মাহাত্ম্যপূর্ণ অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যা। আগামিকাল ১৪ সেপ্টেম্বর, ২৭ ভাদ্র কৌশিকী অমাবস্যা। অমাবস্যা তিথি শেষ হবে পরদিন ১৫ সেপ্টেম্বরে। কৌশিকী অমাবস্যার বিশেষ তাৎপর্য। বিশেষ মাহাত্ম্য। এমন মাহাত্ম্য যে, সাধারণ মানুষ তো বটেই এই তিথিটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন সাধকেরাও।
কেন এ তিথির এত মাহাত্ম্য?
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ঘটে এই বিরল ঘটনা! ভক্তের জীবন চিরতরে বদলে যেতে পারে এতে…
দিনটির পশ্চাতে যে পুরাণ কাহিনি রয়েছে, সেটাও বিষয়টি অনেকটা ব্যাখ্যা করে দেয়। একদিন দৈত্যপীড়িত দেবতারা কৈলাসে শিবের কাছে এসে তাঁদের উপর অসুরদের অত্যাচারের বিহিত চাইলেন। শিব তখন দেবতাদের রক্ষার মানসে দেবতাদের সামনেই পার্বতীকে ডেকে বলেন, ‘কালিকা, তুমিই ওঁদের উদ্ধার করো।’ দেবতার সামনে পার্বতীকে ‘কালী’ বলে ডাকায় দেবী ক্ষুব্ধ হলেন। রেগেও গেলেন।
দেবী তাঁর গাত্রবর্ণ পরিবর্তনের লক্ষ্যে তখন মানস সরোবরের ধারে কঠিন তপস্যায় বসলেন। তপস্যাশেষে মানস সরোবরের জলে স্নান করলেন দেবী। স্নানের পরে তাঁর ত্বকের সব কালো-কোষ খসে গেল। পূর্ণিমাচাঁদের মতো গাত্রবর্ণ ধারণ করলেন তিনি। তাঁর পরিত্যাগ করা কালো কোষগুলি থেকে অপূর্ব সুন্দরী কৃষ্ণবর্ণা এক দেবীর সৃষ্টি হল। সেই দেবীই কৌশিকী। যেদিন কালো দেহকোষ থেকে কৃষ্ণবর্ণা দেবীর সৃষ্টি, সেদিনটিই কৌশিকী অমাবস্যা।
আরও পড়ুন: কৌশিকী অমাবস্যায় এই কয়েকটি কাজ করলেই দেবীর আশীর্বাদে সূর্যোদয় ঘটবে আপনার জীবনে…
কথিত আছে, এদিন দেবী শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেন। আবার এই দিনেই দশমহাবিদ্যার অন্যতমা দেবী তারা মর্ত্যধামে আবির্ভূতা হন। এদিন তাই বীরভূমের তারাপীঠে মা তারার বিশাল পুজো ও উৎসব হয়। তন্ত্রে কৌশিকী অমাবস্যার রাতকে ‘তারা রাত্রি’ বলা হয়৷ বলা হয়, এদিন রাতে এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক উভয়ের দরজাই কিছুক্ষণের নাকি খুলে যায়। আর সাধক তাঁর ইচ্ছেমতো বিশেষ শক্তিসাধনার মাধ্যমে সিদ্ধিলাভ করেন ও বাঞ্ছিত ধামে চলে যান।