দফতর বদলে আদৌ খুশি তৃণমূলের তারকা-মন্ত্রী? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজাখুঁজির মধ্যেই বিতর্ক থামাতে এগিয়ে এলেন বাবুল। বুধবার দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে দফতর বদল নিয়ে ব্যখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি ইন্দ্রনীল সেন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন বাবুল। পর্যটন থেকে অচিরাচরিত শক্তি দফতরে আসায় তিনি যে মোটেও ‘অখুশি’ নন, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে বাবুল লেখেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমি এবং ইন্দ্রনীলদা দু’জনেই নিজেদের নতুন দফতরের দায়িত্ব নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। জনজীবনে থাকলে বিতর্কের চাপ থাকবেই। আমাদের মধ্যে যে কথা হয়েছিল, তা পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া উচিত। তথ্য ও প্রযুক্তি এবং নতুন অচিরাচরিত শক্তি – আমার এই দুটি দফতর নিয়ে আমি খুশি। নতুন দায়িত্ব পাওয়া দফতরের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে সামলানো পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের সিলেবাসের অনেক মিল রয়েছে। আমাদের রাজ্যের নয়া পর্যটনমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাই। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার জন্য কাজ করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’
২০২১-এ তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর ইন্দ্রনীলকে পর্যটন দফতরের দায়িত্ব দেন মমতা। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এসে বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পর বাবুলের হাতে যায় পর্যটনের দায়িত্ব। জুলাই মাসে পর্যটন নিগমের চেয়ারপার্সন পদে ইন্দ্রনীলকে বসান মুখ্যমন্ত্রী। তখন থেকে বাবুল-ইন্দ্রনীল সংঘাতের সূত্রপাত বলে সূত্রের খবর।
সম্প্রতি বিধানসভায় পর্যটন দফতর নিয়ে প্রকাশ্য বিবাদে জড়ান বাবুল-ইন্দ্রনীল। গোটা বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনেই হয়েছিল। ইন্দ্রনীলের বিরুদ্ধে সরাসরি দফতরের কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন বাবুল। এমনকী গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন বলেও জানান তিনি। তারপর মন্ত্রিসভায় এই রদবদল তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে বাবুলের আজকের ফেসবুকে পোস্ট সংঘাতে ইতি টানল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
