জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইডির তলবে অভিষেকের হাজিরা। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এদিন সকাল ১১টা বেজে ৭ মিনিটে বাড়ি থেকে সিজিওর উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। সকাল ১১টা বেজে ৩৫ মিনিটে ইডি দফতরে পৌঁছন অভিষেক। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস যোগ । সেই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ ইডি তলব করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে। প্রসঙ্গত, কাল হাইকোর্টে তদন্তের রিপোর্ট পেশের ডেডলাইন রয়েছে। তার আগেই আজ তড়িঘড়ি তৃণমূল সেনাপতিকে সিজিওয় ডাক এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।
ইডির তলব নিয়ে টুইটারে আগেই সরব হয়েছেন তৃণমূল সেনাপতি। ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ছাতির কাপুরুষতার প্রমাণ! টুইটারে এই ভাষাতেই তোপ দাগেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেকের হ্যাশট্যাগ ফিয়ার অব ইন্ডিয়াকে সামনে রেখেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বে নাগাড়ে শান দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরও। ভয় পেয়েই এজেন্সিকে ব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিজেপিকে দুষে সরব হয়েছে ঘাসফুল শিবির। ‘পঞ্চায়েতের পরাজয়, ধূপগুড়িতে হার/ এমনতরো হলে পরে রাগ হবে না কার?/ ভীষণ রাগে তাইতো ছুড়ে মারছে সিবিআই/ আমরা কি আর পলকা অত, একটু তে ভয় পাই?’ কড়া টুইট করেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। হ্যাশট্যাগে, ‘এবি ঝুকেগা নেহি।’ যা ইতিমধ্যেই ট্রেন্ডিং।
প্রসঙ্গত, সমন মানেই গ্রেফতারি নয়। আজ অভিষেকের হাজিরার আগেই কাল কোর্টে সওয়াল করে ইডি। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে শুনানিতে ইডি বলে, ‘সমন পাঠানো হয়েছে মানেই গ্রেফতারের প্রশ্ন নেই। ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। নিজেরাই ভাবছেন গ্রেফতারের কথা।’ নিজেরা অযথা-ই আশঙ্কায় ভুগছেন বলেও মন্তব্য করে ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে মে মাসে নিজাম প্যালেসে কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় টানা ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ম্যারাথন জেরা করে সিবিআই। ম্যারাথন জেরার পর নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের দফতর থেকে বেরিয়ে এসে অভিষেক দাবি করেছিলেন, ‘টানা সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় জেরার নির্যাস হল শূন্য, আস্ত অশ্বডিম্ব। যারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের সময় নষ্ট এবং আমারও সময় নষ্ট।’
সেদিন অভিষেক আরও বলেছিলেন, ‘আগেও বলেছিলাম আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে তা জনসমক্ষে আনা হোক। জিজ্ঞাসবাদের কোনও প্রয়োজন নেই। সরাসরি ফাঁসিরমঞ্চে মৃত্যুবরণ করব। তিন বছর আগে কয়লা, গোরু মামলায় একই কথা বলেছিলাম। নিজাম প্যালেসে দাঁড়িয়েও একই কথা বলছি। প্রথম দিন থেকেই এদের টার্গেট হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ প্রসঙ্গত, তখনও নবজোয়ায় কর্মসূচি থামিয়ে কলকাতায় ফিরে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন অভিষেক। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তখন বাঁকুড়ায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নোটিস পেয়ে তা স্থগিত রেখে কলকাতায় ফেরেন তিনি। এদিকে আজও একইদিনে দিল্লিতে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে থাকার কথা ছিল অভিষেকের। কিন্তু দিল্লির সেই বৈঠক এড়িয়ে কলকাতায় ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন অভিষেক।