Chicken Thali: ৩৫ টাকায় ভরপেট মাংস-ভাত, ‘মায়ের হেঁশেল’-এর হদিশ জানেন? – bardhaman couple is selling chicken thali on just rupees 35 good news


লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। মাছ, মাংস-সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে বাঙালির এই প্রিয় খাদ্যগুলিরও। কিন্তু, এখনও ৩৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে মাংস ভাত! পেটপুরে খাওয়ার জন্য ‘মায়ের হেঁশেল’ অনেকের কাছেই আদর্শ ডেস্টিনেশন।

কোথায় আছে এই হোটেল?
৩৫ টাকায় মাংস-ভাত শুনে স্বাভাবিকভাবেই বহু ভোজন রসিকের চোখ কপালে উঠেছে। অনেকেই ঢুঁ মারতে চান এই রেস্তোরাঁয়। ‘মায়ের হেঁশেল’ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খেতে হলে যেতে হবে বর্ধমানের কালনার ১০৮ শিব মন্দির এলাকায়।

আসছে রবিবার একটু মুখ পালটান, রান্না করে ফেলুন দারুণ সুস্বাদু ‘গন্ধরাজ চিংড়ি পোলাও’
আর এখানে যে শুধু ৩৫ টাকায় চিকেন ভাত পাওয়া যাবে তা নয়, সঙ্গে থাকবে ডাল, একটা তরকারি, আলু ভাজা। মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ চালু করেছেন কালনার এক দম্পতি তারক মণ্ডল এবং স্বর্ণময়ী মণ্ডল। তাঁরা এই হোটেলে প্রতিদিন ১০০ জনে মতো মানুষের খাওয়ার বন্দোবস্ত করেন তাঁরা।

এদিকে শহরের একাধিক হোটেলে বাঙালি থালি পাওয়া যায় ১২০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে। আর এই খাবার খাওয়ার সামর্থ্য অনেকেরই থাকে না। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান যুগল।

Trending News: পথ দুর্ঘটনায় পা হারিয়ে এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন শেষ, না থেমে অদম্য ইচ্ছাশক্তিতে দেশের জন্য স্বর্ণপদক জয় সুমন্তর
কী কী পদ থাকে এই ৩৫ টাকার চিকেন থালিতে?
এখানে থাকে লঙ্কা, লেবু, পেঁয়াজ, ১ পিস চিকেন,ঝোল এবং দুই পিস আলু, ডাল, একটি সবজি, আলু ভাজা, চাটনি। তবে পরে ভাত নিলে আরও পাঁচ টাকা দিতে হবে। অতিরিক্ত সবজি নিতে গেলে কোনও বাড়তি খরচ করতে হবে না।

স্বর্ণময়ী মণ্ডল বলেন, “তেলে, মশলা, গ্যাসের দাম বেড়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও আমরা দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা স্বামী স্ত্রী মনে করি সেবাই পরম ধর্ম। যাতে এই দামে সাধারণ মানুষকে খাবার দিতে পারি সেই জন্য কোনও কর্মী রাখিনি। আমরা দুই জনেই খাটাখাটনি করি। প্রতিদিন সাড়ে তিন কেজি মাংস লাগে আমাদের। চেষ্টা করি যাতে ভালো করে রান্না করতে পারি।”

Nadia News : শারীরিক অসুস্থতায় ফুঁ! একটি সাইকেল নিয়ে ভারত ভ্রমণে নদিয়ার ত্রয়ী
তারক মণ্ডল বলেন, “আমি শুধু টাকা রোজগারের জন্য এই ব্যবসাটা করি না। যাঁদের অনেক টাকা রয়েছে তাঁরা বড় কোনও হোটেলে চলে যেতে পারেন। কিন্তু, যাঁদের টাকা নেই তাঁদের জন্য আমার হোটেলের দরজা খোলা।”

এত কম দামে খাবার বিক্রি করেও লাভ থাকে বলে জানান তিনি। আগামী কয়েক বছর একই দামে সাধারণ মানুষকে খাবার দিতে চান তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *