North Bengal Homestay : হোম নেই শুধুই স্টে, গাঁট কাটা যাচ্ছে পর্যটকদের – many bengali tourists have had bitter experiences with home stays in the hills of north bengal


সুপ্রকাশ মণ্ডল
কুলকুল করে বইছে নদী। সবুজ বন, কাঞ্চনজঙ্ঘা। একেবারে পিকচার পোস্টকার্ড। কালিম্পংয়ের এমন লোকেশনে শহুরে ক্লান্তি মুছে যেতে বাধ্য।
কিন্তু এমন লোকেশনেও দু’দিনের শর্ট ট্রিপ যন্ত্রণার হয়ে উঠেছিল দমদমের দম্পতির। কারণ হোম-স্টে। এক পরিচিতের মাধ্যমে কালিম্পংয়ের ঋষিখোলার হোম-স্টে বুক করেছিলেন সমাজমাধ্যমে একজনের লেখা পড়ে। কিন্তু হোম-স্টের যে ছবি পাঠানো হয়েছিল, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। নামেই হোম-স্টে। আসলে সেটি লিজ় নিয়ে চালান কলকাতার এক ব্যক্তি।

Sikkim Homestay : সিকিমে হোম স্টে-তে থাকার প্লান? জানুন নয়া নির্দেশিকা
দমদমের বাসিন্দা পূরবী চক্রবর্তী বলেন, ‘নোংরা-স্যাঁতসেতে ঘর, অপরিষ্কার বেড! বলা হয়েছিল ভিউ রুম। কিন্তু ঘর থেকে নির্মীয়মাণ বাড়ি ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি।’ শেষ পর্যন্ত নিজেরা পরের দিন একটা অন্য হোম-স্টেতে উঠেছিলেন। টাকা ফেরত পাননি। সেখানে তাঁদের মাথাপিছু প্রতিদিন ১৫০০ টাকা ভাড়া পড়েছিল।

Labour Law: চাকুরিজীবীদের জন্য নতুন আইন আনছে সরকার! বছরে কম ছুটি নিলে পাবেন বেশি টাকা
উত্তরবঙ্গে পাহাড়ে হোম-স্টে নিয়ে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা অনেকেরই। বাঙালি পর্যটকেরা খুঁজছেন অফবিট ডেস্টিনেশন। আর তার জন্য পাহাড়ের যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে হোম-স্টে। হোম-স্টের প্রাথমিক শর্ত, কোনও স্থানীয় বাসিন্দার নিজের বাড়িতে অতিথি হিসেবে পর্যটকদের রাখবেন। স্থানীয় খাবার, সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাবেন। কিন্তু বর্তমানে যেন হোটেল ব্যবসার নামান্তর।

Kolkata Police : ১০ বছর ধরে যৌন নির্যাতনের আখড়া ব্লাইন্ড স্কুল, তদন্তে নামল লালবাজার
অতিথিদের জন্য আলাদা করে তৈরি হচ্ছে ঘর। সুবিধা একেবারেই বেসিক। থাকে শুধু ওয়াটার হিটার। কোথাও কোথাও তা-ও নেই। ফলে প্রত্যন্ত পাহাড়ে এই ধরনের একটি ঘরের ভাড়া কোনও ভাবেই রাত প্রতি ১০০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন দীর্ঘদিনের ট্যুর অপারেটর সুদীপ দত্ত।

Home Loan: সরকারি ব্যাঙ্কে হোম লোনে বাড়ল সুদ! গ্রাহকদের দিতে হবে আরও বেশি টাকা
কিন্তু পাহাড়ে কোথাও আর রাতপ্রতি ঘর ভাড়ায় পাওয়া যায় না। নিতে হবে পুরো প্যাকেজ। সুদীপের হিসেব, এক সন্তান-সহ কোনও দম্পতি একটি ঘর হাজার টাকায় ভাড়া নিলে, খাওয়া ধরে (গড়ে প্রত্যেকের ৬০০-৭০০ টাকা রোজ) তাঁদের রোজকার খরচ হয় মোটামুটি ৩১০০-৩২০০ টাকা। সেখানে মাথাপিছু ১৫০০ টাকা হিসেবে হোম-স্টেতে তাঁদের খরচ পড়ছে ৪৫০০ টাকা। অথচ তিন-চার বছর আগেও হোম-স্টেতে জনপ্রতি ফি রাতে ভাড়া পড়ত ৮০০-৯০০ টাকা। কোভিডের পর থেকে তা রকেটের গতিতে বেড়েছে।

Bajaj Finance: স্কুটার কেনার জন্য লোন নিতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ, মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম
গত ৩০ বছর ধরে নিয়মিত বিভিন্ন পাহাড়ে যান গড়িয়ার বাসিন্দা পরিমল ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে স্থানীয়দের থেকে জমি বা তৈরি হোম-স্টে নিয়ে ব্যবসা করছেন বাইরের লোকেরা। তার ফলে রেট ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।’ অভিযোগ, মূলত সমাজমাধ্যমে পর্যটকের ভেক ধরে হোম-স্টের বিজ্ঞাপন চলছে। সেখানে নানা প্রলোভন দেখিয়ে, অর্ধ-সত্য বা মিথ্যা বলে পর্যটকদের আকৃষ্ট করা হয়। পরিমল বলেন, ‘আমি কেরালা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের ভালো লোকেশনে এখনও ৭০০ টাকায় ঘর পাই। এখানে সে সুযোগ কই?’ সকলেই চাইছেন, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে এবার এর উপরে সরকার নজর দিক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *