Paschim Medinipur News : পুত্র জন্ম দিতে ‘অপারগ’ স্ত্রী, গৃহবধূকে ‘ঘাড়ধাক্কা’ প্রাথমিক শিক্ষকের! ঘাটাল তোলপাড় – ghatal primary teacher kicked his wife out of the house


সমাজে নারী-পুরুষ সমান অধিকার! এই সত্যিটা হয়তো কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি পশ্চিম মেদিনীপুরের শিক্ষক। স্ত্রী পুত্র সন্তানের জন্ম দিনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই চুপ করে বসে না থাকতে পারে স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দাসপুরের ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্ত্রী পরপর দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় শিক্ষকের এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। যে শিক্ষক পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্রদের জীবনের চলার রাস্তা দেখান তাঁর এমন অমানবিক আচরণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরাও।

Dakshin 24 Pargana : টাকা চেয়ে স্বামী-সতীনের অত্যাচার, অ্যাসিডে পোড়ানো হল চামড়া! কুলতলিতে নৃশংস ঘটনা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম প্রকাশ হাইত। দাসপুরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি। তাঁর বাড়ি দাসপুর থানার যদুপুর গ্রামে। খবর জানজানির পর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে দাসপুর থানার পুলিশ। সোমবার থানাতে এই নিয়ে একটি বৈঠকও হয়। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় ওই শিক্ষক। পুলিশের সামনে কার্যত স্ত্রীকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। পুলিশকে অভিযুক্ত শিক্ষক জানান স্ত্রীয়ের চরিত্র ভালো নয়। সেই কারণে তিনি সংসার করবেন না।

Hooghly News: শিশুর কান্না থামাতে চোলাই মদ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ, পান্ডুয়ায় গ্রেফতার বাবা ও দাদু!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের শুরু থেকে অনমনীয় মনোভাব দেখিয়েছেন প্রকাশ। দাসপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোনওভাবে তাঁকে সংসার করানোর জন্য রাজি করানো যায়নি। গ্রামবাসী ও গৃহবধূর অনুরোধে চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। স্ত্রীয়ের সঙ্গে সংসার না করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণ দেখিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে সিঙ্গাঘাইয়ের বাসিন্দার ওই গৃহবধূর সঙ্গে বিয়ে হয় প্রকাশের। শিক্ষকের স্ত্রী বলেন, ‘শারীরিক সমস্যার জন্য আমার গর্ভবতী হওযার ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু চিকিৎসা না করিয়ে আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমার উপর নিয়মিত অত্যাচার করত। চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্ত করা হয়নি।’ ২০১১ সালে প্রথম সন্তানের জন্ম হওয়ার পর সাময়িকভাবে অশান্তি বন্ধ হয়। বছর তিনেক পর স্ত্রী দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলে শুরু হয় চরম অশান্তি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অত্যাচার বাড়ছিল বলেই জানিয়েছেন অভিযুক্ত স্ত্রী।

Mid Day Meal : মিড-ডে মিলের ৫০ বস্তা চাল ‘চুরি’! গিতালদহের সরকারি স্কুলে মারাত্মক ঘটনা
পুত্র সন্তান জন্ম দিতে না পারার জন্য নিয়মিত চলত অত্যাচার। গৃহবধূ ও তাঁর দুই কন্যা সন্তানকে নিয়মিত খেতে দেওয়া হত না বলেও অভিযোগ। সোমবার সকালে স্ত্রী ও দুই কন্যাকে ওই শিক্ষক বাড়ি থেকে বের করে দেন ওই শিক্ষক ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এমনটাই অভিযোগ। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ওই গৃহবধূ। শ্বশুরবাড়ির পাড়া এর ওঁর বাড়িতে খাবার খেতে বেড়াচ্ছেন তিনি ও তাঁর দুই সন্তান। গৃহবধূ বলেন, ‘আমার বাপের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। কবে যে সমস্যার সমাধান হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *