সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের চলতি বছরের থিম ‘রাম মন্দির’। আর এই থিমপুজোর জন্য নেটিজেনদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন সজল। তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আসুন এই নির্মাণ কার্যের আপনিও একজন শরিক হয়ে উঠুন,যে কোনও দান আমাদের কাছে অসামান্য। সবচেয়ে বড় কথা ভাবাবেগের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন করে তোলা।” এই পোস্টে একটি কিউ আর কোডও দেওয়া। ‘স্ক্যান অ্যান্ড পে’ অর্থাৎ ডিজিটালই এতে চাঁদা দেওয়া সম্ভব হবে।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এই উদ্যোগ নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত অনুদান না নিয়ে কি পুজোর খরচ সামাল দিতে কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে এই কমিটিকে? তা নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা কম নয়।
এবার এই নিয়ে মুখ খুলেছেন সজল ঘোষ। ‘অর্থকষ্ট’-এর বিষয়টি তিনি কার্যত তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রকৃত অর্থে সর্বজনীন পুজো করার জন্য এই পদক্ষেপ বলে জানাচ্ছেন তিনি। এই BJP কাউন্সিলর বলেন, “এখানে টাকাটা বড় বিষয় নয়। আমি কত মানুষকে জুড়তে পারছি সেটাই আসল। একজন মানুষ যখন ১০ টাকা দেন তিনি আরও বেশি করে যুক্ত হন পুজোর সঙ্গে।”
পাশাপাশি এই ‘অনলাইন চাঁদা’ প্রসঙ্গে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সজল ঘোষ বলেন, “যত টাকা খরচ হয় তার অডিট রিপোর্ট রাখা হয়। আমরা ১০০০ হাজার ছেলে-মেয়েদের স্কলারশিপ দিই। ৫০০ মানুষকে জামাকাপড় দিই। এলাকার ছয়টাকে ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা দিই।”
প্রসঙ্গত, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর সঙ্গে যুক্ত সজল ঘোষ। গত বছর এই পুজো ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’-এর থিমে সেজেছিল। মণ্ডপটি গড়ে তোলা হয়েছিল লালকেল্লার আদলে। আর এই মণ্ডপের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল লাইট এবং সাউন্ডের খেল। যদিও তা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক।
চলতি বছরে সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে সজয় ঘোষের ঘোষণার পরও রাজনৈতিক দড়িটানাটানি নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়।
