World Bank : বাংলাকে ৩২০০ কোটি টাকা ঋণ বিশ্বব্যাঙ্কের, খুশি নবান্নের কর্তারা – world bank will give a loan of 3200 crore to bengal


তাপস প্রামাণিক
একশো দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা আটকানো-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপড়েন চলছে। সেই সংঘাতের আবহে পঞ্চায়েত সশস্ত্রীকরণ প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিশ্বব্যাঙ্কের থেকে প্রায় ৩২০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার জন্য প্রাথমিক সম্মতি দিল কেন্দ্র। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার মঙ্গলবার ‘এই সময়’-কে জানিয়েছেন, আইএসজিপি (ইনস্টিটিউশনাল স্ট্রেনদেনিং অফ গ্রাম পঞ্চায়েত) ফেজ়-৩ প্রজেক্ট চালুর জন্য কেন্দ্র মৌখিক সম্মতি জানিয়েছে। সেইমতো কেন্দ্রের কাছে খুব শিগগিরই একটি লিখিত প্রোপোজ়াল পাঠানো হবে। বিশ্বব্যাঙ্কের থেকেও সবুজ সঙ্কেত এসেছে।

Indian Railways: ‘মমতার চালু করা প্রজেক্টে অর্থ বরাদ্দ করেনি BJP’, রেলমন্ত্রীর চিঠির পালটা আক্রমণ মন্ত্রী স্নেহাশিসের
নবান্নের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ নিতে গেলে কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স’-এর অনুমোদন লাগে। দিল্লি এবং রাজ্যের পারস্পরিক সম্পর্ক এখন তলানিতে এসে ঠেকায় কেন্দ্রের থেকে শেষ পর্যন্ত অনুমতি মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রের মৌখিক সম্মতিতে তা কিছুটা কেটেছে।

পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, আইএসজিপি ফেজ়-৩ প্রকল্পের জন্য মোট ৪০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রোপোজ়াল তৈরি করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণ। বাকি ১০০ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে রাজ্য। তা দিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ, কর্মীদের প্রশিক্ষণ-সহ বিভিন্ন কাজ হবে। প্রকল্পের মেয়াদ পাঁচ বছর। অর্থাৎ, ২০২৯ সালে আইএসজিপি ফেজ়-৩ প্রকল্প শেষ হবে।

Delhi G20 Summit : রাজ্যের ই-আবগারি প্রশংসিত জি২০-তে
তাঁর দাবি, আইএসজিপি প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের পারফরম্যান্স খুব ভালো হওয়ায় বিশ্বব্যাঙ্ক নতুন করে এই প্রকল্পের জন্য ঋণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ঘুরে গিয়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আইএসজিপি প্রকল্প সফল ভাবে রূপায়ণ করার জন্য আন্তর্জাতিক রেটিং সংস্থার পক্ষ থেকেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ‘হাইলি সাটিসফ্যাক্টরি’ রেটিং দেওয়া হয়েছে।

Namaste Scheme : নমস্তে! সাফাই কর্মীদের সুরক্ষায় বড় উদ্যোগ কেন্দ্রের
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে রাজ্যে প্রথম আইএসজিপি প্রকল্প চালু হয়। রাজ্যের মোট ১ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালের এপ্রিলে আইএসজিপি-২ প্রকল্পের অনুমোদন দেয় বিশ্বব্যাঙ্ক। আইএসজিপি প্রকল্পের প্রথম পর্বে বিশ্বব্যাঙ্ক প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছিল রাজ্যকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি মিলেছিল। সেই টাকা দিয়ে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।

Nitin Gadkari : ‘আগামী জানুয়ারিতেই শুরু হবে বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ’, ঘোষণা গডকরির
রাজ্য অর্থ দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, আইএসজিপি প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে অনলাইন প্রশিক্ষণ চালু করা হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে পঞ্চায়েত পরিচালনার জন্য বছরের নির্দিষ্ট সময়ে বাজেট পেশ করা, অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা, বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা-সহ বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ফলে নতুন করে আর টাকা বরাদ্দ না করলে পঞ্চায়েতের বাজেট থেকে সেই ঘাটতি মেটানো সম্ভব হতো না। তাই প্রায় শেষবেলায় বিশ্বব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রের সবুজ সঙ্কেতে আশার আলো দেখছে পঞ্চায়েত দপ্তর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *