এই পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন মৎস্যদফতরের আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে ফিশ ফার্মার্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (FFDA) এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কিছু সামুদ্রিক মাছ দেখতে হুবহু ইলিশের মতো, সামান্য পার্থক্য রয়েছে, আর সেই মাছগুলিকেই বাজারে ইলিশ মাছ বলে বিক্রি করা হচ্ছে। সেগুলি কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। তাই ক্রেতারা যাতে সহজেই আসল ইলিশ চিনতে পারেন, সেই জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞের মতামত…
এক্ষেত্রে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন নকল ইলিশ বা অন্য কোনও মাছকে কি আদৌ ইলিশ বলে বিক্রি করা সম্ভব? আর যদি এমনটা হয়েই থাকে, তাহলে কেনার সময় কী ভাবে তা চিনবেন সাধারণ মানুষ? এই প্রসঙ্গে ফিশারিজ রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন ডিভিশনের প্রধান শ্রীকান্ত সামন্ত এই সময় ডিজিটালকে জানান, মাপ ও আকার দেখেই চিনতে হবে ইলিশ মাছ। তিনি বলেন, ‘সাইজ দেখেই চিনতে হবে। নকল তো করা যাবে না ইলিশ মাছ। ইলিশ মাছের নির্দিষ্ট সাইজ আছে, অন্য মাছের সঙ্গে তা মিলবে না।’
শ্রীকান্তবাবু জানান, ইলিশের মূলত ৫টি প্রকারভেদ রয়েছে। তারমধ্যে Tenualosa Ilisha-কেই মূলত সাধরণ মানুষ ইলিশ বলে জানেন। আর সেটা চিনতে গেলে হতে হবে বিশেষজ্ঞ। তাঁর কথায়, আমজনতা সাধারণ দৃষ্টিতে এই বিষয়টি ধরতে পারবেন না। তাঁর মতে, ইলিশ মাছ ছোট অবস্থায় থাকার সময় যদিও বা অন্য কোনও মাছের সঙ্গে গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু বড় ইলিশের তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে বর্তমানে Tenualosa Ilisha ভীষণ পরিমানে কমে যাচ্ছে বলেই জানান শ্রীকান্তবাবু।