২০১৪ সালে একটি মামলায় চার্জশিট জমায় দেরি ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে তমলুক থানার বিরুদ্ধে। ২০১৪-তে তমলুক থানা এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আসে নিউটাউনের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চার্জশিট সময়মতো পেশ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালতে ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে পুলিশ চার্জশিট পেশ করে। কিন্তু সেই চার্জশিট ২০২২-এর মার্চেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিযুক্ত। এক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ মেনে এদিন এজলাসে হাজির ছিলেন এসপি।
পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে এদিন আদালত বলে, ‘পুলিশ ও অভিযুক্তদের এই যোগসাজশ ভাঙতে হবে। পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশকে আইপিসি এবং সিআরপিসি নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে হবে। জেলার পুলিশ সুপারকে এবিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।’ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য,✓আইন মেনে যাতে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।
ওই মামলায় তদন্তে ত্রুটির অভিযোগে ইতিমধ্যে আটজন তদন্তকারী আধিকারিক বদল হয়েছেন। আদালতের বক্তব্য, ‘তাহলে শুধু একজনকে সাসপেন্ড কেন করা হয়েছে? কেন একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে? এই অনিয়মে আট জন তদন্তকারী আধিকারিকই যেখানে যুক্ত?’ এই বিষয়ে রাজ্যকে তার বক্তব্য জানাতে হবে। ২৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।