Calcutta High Court News : শুধু সাসপেন্ড করে হবে কী? পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কোর্ট – suspension from government service means more comfort the judge of calcutta high court commented like this


এই সময়: সরকারি চাকরিতে সাসপেন্ড করা মানে আরও আরাম–পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে দায়ের হওয়া একটি মামলায় বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। বিচারপতির সংযোজন, ‘পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করে কী হবে? সাসপেন্ড করা হলেও বেতনের একটা অংশ তাঁরা পাবেন। আর অভিযুক্তদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বেআইনি কাজ করবেন!’ আইনজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের একাংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে যে সব দুর্নীতি ও বেআইনি কাজকর্মের অভিযোগ ওঠে, তাতে তাঁদের সাসপেন্ড করা হলেও যে তাতে বিশেষ হেলদোল হয় না–এটাই বোঝাতে চেয়েছে আদালত।

Calcutta High Court : কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে খেজুরির পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন, রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের
২০১৪ সালে একটি মামলায় চার্জশিট জমায় দেরি ও কারচুপির অভিযোগ ওঠে তমলুক থানার বিরুদ্ধে। ২০১৪-তে তমলুক থানা এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানো নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ আসে নিউটাউনের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চার্জশিট সময়মতো পেশ করা হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। নিম্ন আদালতে ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে পুলিশ চার্জশিট পেশ করে। কিন্তু সেই চার্জশিট ২০২২-এর মার্চেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন কয়েকজন অভিযুক্ত। এক্ষেত্রে কারচুপির অভিযোগ ওঠায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। নির্দেশ মেনে এদিন এজলাসে হাজির ছিলেন এসপি।

Calcutta High Court News : ‘অভিযুক্তদের ফোন করুন…’, পরিচারিকা নির্যাতনের মামলায় পুলিশের উপর বিরক্ত বিচারপতি
পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে এদিন আদালত বলে, ‘পুলিশ ও অভিযুক্তদের এই যোগসাজশ ভাঙতে হবে। পুলিশ কর্মীদের আরও কড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশকে আইপিসি এবং সিআরপিসি নিয়ে আরও পড়াশোনা করতে হবে। জেলার পুলিশ সুপারকে এবিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।’ আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য,✓আইন মেনে যাতে নিম্ন আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে।

Justice Amrita Sinha: কুন্তলের চিঠি মামলায় বিশেষ CBI আদালতের নির্দেশের বিরোধিতা, বিচারপতি সিনহার দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা
ওই মামলায় তদন্তে ত্রুটির অভিযোগে ইতিমধ্যে আটজন তদন্তকারী আধিকারিক বদল হয়েছেন। আদালতের বক্তব্য, ‘তাহলে শুধু একজনকে সাসপেন্ড কেন করা হয়েছে? কেন একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে? এই অনিয়মে আট জন তদন্তকারী আধিকারিকই যেখানে যুক্ত?’ এই বিষয়ে রাজ্যকে তার বক্তব্য জানাতে হবে। ২৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *