Cyber Crime News : সাইবার প্রতারণার শিকার হয়ে সাহায্য প্রতারিতদের, বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিতে চালু হেল্পলাইন নম্বর – a helpline number has been launched by a ngo being duped by cyber fraudsters so that no one else faces such a situation


এই সময়: সাইবার প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে খোয়া গিয়েছিল দু’কোটি টাকা। এমন ঘটনার মুখোমুখি যেন আর কেউ না হন এবং হলেও সুবিচার পান, সে জন্যে উদ্যোগী হলো সল্টলেকের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। তাদের উদ্যোগে সম্প্রতি চালু হয়েছে একটি হেল্পলাইন নম্বর (৯৮৩১৪ ৮২৬৩৮)। যে নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফোন করে সাইবার প্রতারকদের হাতে প্রতারিতরা বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে পারবেন। নয়া ব্যবস্থা চালু করার ১২ দিনের মধ্যেই সাইবার ক্রাইমের শিকার ৪ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়েছে সংস্থাটি। থানায় অভিযোগ জানানো থেকে শুরু করে এই প্রতারিতরা যেন সুবিচার পান–সে জন্যে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালাবে এই সংস্থার বিশেষজ্ঞ টিম।

Cyber Fraud : লক করে রাখা আধারের বায়োমেট্রিক থেকেও টাকা উধাও! তদন্তে পুলিশ
বছরখানেক আগে সল্টলেকের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অন্যতম কর্ণধার জিশান বসুর গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরি করে নেয় সাইবার প্রতারকরা। সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয় দু’কোটি টাকা। সল্টলেক সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জিশান। পাশাপাশি, কারা মূলত সাইবার প্রতারকদের টার্গেট–সে নিয়েও খোঁজখবর শুরু করেন। জানতে পারেন, প্রবীণ মানুষরাই প্রতারকদের সফট টার্গেট। এর পরেই সংস্থার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়াতে কিছু করা হবে।

EPFO-র নামে বড় প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস, বিশেষভাবে সাবধান থাকুন বয়স্করা
সে কারণেই তথ্যপ্রযুক্তি এবং আইন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি টিম তৈরি করেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি। হেল্পলাইনের উদ্বোধনে শহরের একটি হোটেলে আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল ওই সংস্থা। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র সেন। তিনি বলেন, ‘প্রতারিত হওয়ার পর অনেকেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন না। তা ছাড়া এই ধরনের অভিযোগ ভীষণ গুছিয়ে লিখতে হয়। হেল্পলাইন নম্বর চালু হওয়ার ফলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন।’

Nusrat Jahan : ফ্ল্যাট মামলায় আজ তলব ইডির, এখনই কোর্টে হাজিরা দিতে হচ্ছে না নুসরতকে
এক আত্মীয়ের থেকে এই সংস্থার কথা জানতে পেরে যোগাযোগ করেছিলেন সদ্য প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে ৪৩ হাজার টাকা হারানো বাঙুরের বাসিন্দা অলোক চৌধুরী। ঘটনার পর থানায় অভিযোগ জানাাননি তিনি। কিন্তু এই সংস্থার সহযোগিতায় কয়েক দিন আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেছেন অলোক।

Cyber Crime : বায়োমেট্রিক তথ্য চুরি, ফাঁদে কলকাতার বাসিন্দাও
আবার বাড়ির ছাদে মোবাইল টাওয়ার বসানোর টোপে মানিকতলার বাসিন্দা সুমন সাহা মাস তিনেক আগে খুইয়েছেন ২২ হাজার টাকা। তাঁর অভিযোগ পুলিশ প্রথমে নেয়নি। এ ক্ষেত্রেও পাশে দাঁড়িয়েছে ওই সংস্থা।’ সংস্থার আইনজীবী বিবেক শর্মা বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানানোর ক্ষেত্রে পুরো ঘটনাটি গুছিয়ে যেমন অনেকে লিখতে পারেন না, তেমনই থানাও সহজে এফআইআর নেয় না। এই সব ঘটনার শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের লক্ষ্য।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *