DSP কর্তৃপক্ষ ও তাদের সঙ্গে আসা সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে ব্যাপক বচসা শুরু হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় গ্রামবাসী ও মহিলাদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। সিআইএসএফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন সিআইএসএফ জওয়ান আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাবাসী। এই ঘটনার প্রতিবাদে গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স।
হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তা বসে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাছের গুঁড়ি, বাঁশ ও লাঠি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় রাস্তা। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে যান চলাচল। রাস্তার বেরিয়ে হয়রানির মুখোমুখি হন নিত্যযাত্রী ও গাড়ি চালকরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
বিক্ষোভকারী মহিলা লক্ষ্মী ঠিকাদার বলেন, ‘আমাদের দরখাস্ত লিখে অফিসে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা দরখাস্ত জমা দিয়েছিল। তারপরই ভিত পুজো করতে এখানে চলে এসেছে। আমরা ভিত পুজো করতে দিইনি। আমরা বলেছি আমাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিন। জোর করে ভিত পুজোর চেষ্টা করলে বাধা দেওয়া হয়। তখন আমাদের গায়ে হাত দিয়েছে। সিআইএসএফ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। মহিলাদের ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আমাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। নইলে এখানে কাজ করতে দেব না। আমাদের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
স্থানীয় সাংসদ সুরিন্দর সিং অহলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘স্থানীয় সাংসদ আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনিও আমাদের পাশে এসে দাঁড়াননি। কোনও রাজনৈতিক দল এখানে আসুক আমরা চাই না। সেই কারণে জাতীয় পতাকা নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি।’