Mandarmani Beach Incident : মন্দারমণির সৈকতে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের নেপথ্যে ‘খুন’! লাবনীর সঙ্গী কারা? খুঁজছে পুলিশ – mandarmani sea beach girl death case police filed suo moto case


মন্দারমণির চাঁদপুরে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য। ইতিমধ্যেই তরুণীর পরিচয় জানা গিয়েছে। মৃত ওই তরুণীর নাম লাবনী দাস। বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর এলাকার। সোদপুরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন ওই তরুণী। গত রবিবার সোদপুরেই যাবে বলে বের হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন, মা বিড়িশিল্পের সঙ্গে যুক্ত। আর্থিকভাবে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বিউটি পার্লারে কাজ শুরু করেন তিনি। বেশিরভাগ দিন কাজের পর সোদপুর থেকে তাহেরপুরেই ফিরে যেতেন ওই তরুণী। কোনও কোনও দিন আবার ব্যারাকপুরে দিদির বাড়িতে চলে যেতেন। পরের দিন সেখান থেকেই আবার কাজে চলে যেতেন। কোনও কোনও দিন আবার কাজের চাপ বেশি থাকলে সোদপুরে ‘ম্যাডাম’-এর বাড়িতেই থেকে যেতেন তিনি। রবিবারও সকালেও সোদপুরের উদ্দেশেই রওনা দেন তরুণী। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে আর ওই তরুণীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Mandarmani Sea Beach : যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারে আতঙ্ক বাড়ছে মন্দারমণিতে, পুজোর মরশুমে পর্যটনে ধাক্কার আশঙ্কা
এরপর সোমবার সকালে মন্দারমণির চাঁদপুরে সমুদ্রের তীরে পাথরের ওপর তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব মেদিনীপুরের মন্দারমণি কোস্টাল থানা এলাকার চাঁদপুরে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বাইরে থেকে ওই তরুণীকে এনে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। এলাকায় স্ট্রিট লাইট ও পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন এলাকাবাসীরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই বিষয়ে রামনগরের ডিএসপি-ডি অ্যান্ড টি রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘বাড়ির লোক সনাক্ত করেছেন। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কালকেই মামলা রুজু হয়েছে। আমরা সুয়োমোটো একটা মামলা করেছি। আমাদের মনে হয়েছে এটা খুন হতে পারে, সেই হিসেবে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি।’

Mandarmani Beach : মন্দারমণির সৈকতে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ! ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ
এদিকে এই ধরনের ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের মধ্যে। স্থানীয়দের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট না থাকার জেরে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। তাই স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকায় রাস্তার আলো বাড়ানো হোক। সঙ্গে পুলিশের নজরদারি বাড়ানোরও দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। তবে পুজোর আগে এই ধরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন এলাকার হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশ। পর্যটনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *