ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু?
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘সম্প্রতি রাজ্য সরকার বিভিন্ন জেলার ৩১ আইপিএস ও ২০ জন আইএএস-কে রদবদল করেছে। পূর্ব বর্ধমানের এসপি কামনাশীস সেনেক হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার পদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট লুঠ ও রিগিংয়ে সাহায্য করার ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্ব এবং সাংগঠিনক ক্ষমতা দেখা গিয়েছে। এবার প্রশাসন হুগলি জেলায় বেআইনি বালি পাচারের ক্ষেত্রে তাঁর স্কিল ব্যবহার করতে চাইছে, যাতে তৃণমূল নেতৃত্ব মসৃণভাবে তা করতে পারে।’
শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, ‘তিনি (কামনাশীস সেন) বর্ধমানের বিলাসবহুল হোটেলে নিজের ফেয়ারওয়েল পার্টি দিয়েছিলেন। যাওয়ার আগে সহকর্মীদের সঙ্গে একটি সন্ধ্যা কাটানো ভাল বিষয়। কিন্তু দেখুন তিনি ওই জায়গা পর্যন্ত কীভাবে পৌঁছলেন। তাঁর গাড়ি সেভাবে টানা হল, যেমনটা রথযাত্রার সময় জগন্নাথ দেবের রথ টানা হয়। ভক্তদের জায়গায় ছিলেন সিভিক ভল্যান্টিয়াররা, যাঁদের বেতন ৯ হাজার টাকা, ভিলেজ পুলিশ, যাঁদের বিগত ১০ বছর ধরে বেতন বৃদ্ধি হয়নি এবং কনস্টেবলরা, যাঁদের ৩৬ শতাংশ ডিএ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।’
শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন করেন, ‘কামনাশীস সেন নিজেকে কী ভাবেন? পূর্ব বর্ধমান জেলার রাজা, যিনি এবার হুগলি জেলায় নিজের রাজ্য স্থাপন করতে যাচ্ছেন? এই ভিডিয়োতে একটি লজ্জাজনক ও অপমানজনক ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে, যেটা জনগণের সেবায় নিযুক্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী জন্য শোভনীয় নয়।’
এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই বিতর্কের ঝড় উঠতে শুরু করেছে বিভিন্নমহল থেকে। প্রসঙ্গত, সদ্য এই রদবদলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আইপিএস ও আইএএস-দের রদবদল করা হয়েছে। কামনাশীস সেনের ছেড়ে আসা বর্ধমানের পুলিশ সুপার পদে পাঠানো হয়েছে আমনদীপকে। এতদিন হুগলি গ্রামীণের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন তিনি।