এরপরই রেলের আধিকারিকেরা এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। আধিকারিকরা জানান, ব্রেক লক হয়ে যাওয়ার কারণেই এই কাণ্ড। তবে এর ফলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বড়সড় দুর্ঘটনা এড়িয়েছে ওই শিয়ালদাগামী বনগাঁ ট্রেনটি। মিনিট দশেক ওখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর আধিকারিকেরা এসে মেরামতির কাজ শুরু করে। ব্রেক শ্যু আটকে যাওয়ায় এই কাণ্ড ঘটেছিল। তা সারানো হয়ে গেলে ফের শিয়ালদার উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। যদিও ট্রেন থামতেই লাইনে নেমে হাঁটতে শুরু করে যাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারত বাংলাদেশ বন্ধন এক্সপ্রেস ও আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যায় আতঙ্ক ছড়ায় হাবরা স্টেশনে এলাকায়। কেন বারংবার এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে সে বিষয়ে যদিও বা রেলের তরফে কিছুই প্রতিক্রিয়া মেলেনি। ঘটনার জেরে কিছুটা হলেও দেরিতে গন্তব্যের দিকে রওনা হয় ওই ট্রেনটি। অল্প সময়ের জন্য হলেও ওই জায়গায় রেল গেট নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশিক্ষণ আটকে থাকায় সামান্য যানজট তৈরি হয়। ট্রেনটি ওই জায়গা থেকে না ছাড়া অবধি খোলা হয়নি রেল গেট। ১০-১৫ মিনিটেরও বেশি আটকে থাকে যান বাহন। অন্যদিকে, পিছনে আসা ডাউন ট্রেনের চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছে রেল। যদিও যাত্রীদের দাবি, বাকি পিছনে থাকা ট্রেনগুলিও সামান্য দেরিতে চলে এই ঘটনার জেরে।
সপ্তাহ খানেক আগে বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে ওভার হেডের তার ছিঁড়ে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। এই ঘটনার জেরে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক লোকাল ট্রেন। ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল । জিরাট স্টেশনে আটকে যায় কাটোয়া ব্যান্ডেল লোকাল। তার আগের ট্রেন কাটোয়া হাওড়া লোকাল খামারগাছি স্টেশনে আটকে পড়ে। ফলে সেদিন চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় নিত্যযাত্রীদের।