সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ‘এশিয়া প্যাসিফিক যোগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়’ ২৬ -৩০ বছর বয়সী বিভাগে স্বর্ণপদক জয় করেছেন রঙ্গিতা দত্ত। আর ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী বিভাগে স্বর্ণপদক এসেছে সায়ন্তিনীর ঝুলিতে। দুই কন্যার এই সাফল্যেকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন কাটোয়াবাসী।
প্রতিযোগিতায় ছিল ১১ দেশ
কাটোয়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সায়ন্তনী। আর রঙ্গিতা স্নাতক উত্তীর্ণ। তিনি এখন চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁরা দু’জনেই কাটোয়ার একটি সংস্থায় প্রশিক্ষণ নেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এশিয়া প্যাসিফিক যোগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। সেই প্রতিযোগিতাতেই অংশ নেন তাঁরা। প্রতিযোগিতায় ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, মায়ানমার, নেপাল, ভুটান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালেশিয়া-সহ মোট ১১ টি দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন।
সায়ন্তিনী ও রঙ্গিতার প্রশিক্ষক কৃষ্ণপদ নন্দী জানিয়েছেন, মোট ৩০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সায়ন্তিনী ও রঙ্গিতা-সহ পূর্ব বর্ধমান জেলার তিনজন অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে রঙ্গিতা ও সায়ন্তিনী দু’জনেই দুই পৃথক বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছেন। ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বাড়িতে ফিরেছেন সায়ন্তিনী ও রঙ্গিতা।
দুই কন্যার সাফল্যে খুশি কাটোয়াবাসী
রঙ্গিতা ও সায়ন্তিনীকে শুভেচ্ছা জানাতে বুধবার থেকেই তাঁদের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন আত্মীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনে এই দুই তনয়ার আরও সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা। অন্যদিকে আগামীদিনেও এই ধরণের সাফল্য ধরে রাখতে চাইছেন রঙ্গিতা ও সায়ন্তিনী।
প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র খেলাধূলা হিসেবে নয়, শরীরচর্চার অন্যতম মাধ্যম যোগাসন। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়মিত যোগভ্যাসের ফলে নিরাময় হয়। পুরনো ব্যথা, বা কোনও দীর্ঘদিনের রোগব্যাধিও নিরাময় করা যায় যোগের ফলে। সরকারও বিগত কয়েক বছর ধরে যোগ সাধনার ওপরে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে। প্রতিবছর ২১ জুন তারিখটিকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবেও উদযাপন করা হয়। সেখানে শুধু যোগগুরুর রামদেব নন, দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্টদেরও যোগাসন করতে দেখা যায়। আর সেই যোগভ্যাসই এবার সাফল্য এনে দিল কাটোয়ার এই দুই কন্যাকে।