অর্ণবাংশু নিয়োগী: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘ইন্টারভিউ’তে ফেল! চাকরি পাওয়া হল না ২০১৪ সালে টেট পাস এক চাকরিপ্রার্থীর। তাঁর আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: Mayo Road Accident: রাতের রেড রোডে বেপরোয়া ট্রাক, দুর্ঘটনা টের পেলনা পুলিস
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে নিয়োগ হয় ২০১৬ সালে। প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরি পান ৪২ হাজার ৫০০ জন। এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। কেন? অভিযোগ, সংরক্ষণ নীতি না মেনেই নিয়োগ করা হয়েছিল। অ্যাপটিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি চাকরিপ্রার্থীদের। ইচ্ছামতো নম্বর দেওয়া হয়েছে। এমনকী, নিয়ম মানা হয়নি ইন্টারভিউতেও!
সেই মামলায় প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, ৩ মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ করতে বলা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সঙ্গে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও! কবে? চলতি বছরের মে মাসে।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে ফের ইন্টারভিউয়ের মুখোমুখি হন ২০১৪ সালে টেট পাস করা এক চাকরিপ্রার্থী। ইন্টারভিউ সময়ে ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এদিন এজলাসে বসে সেই ভিডিয়ো দেখেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীর কাছে জানতে চান, ‘দুর্গা বানান কি’? ‘দূর্গা’ বানান করে বলেন ওই চাকরিপ্রার্থী।
তারপর? বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য,’অ্যাপটিচিউড টেস্টের সময়ে বোর্ডে ‘আমরা চাষ করী আনন্দে’ লিখেছেন? এই বানান নিয়ে শিক্ষকতা করার যোগ্যতা আছে বলে আমি মনে করি না’।
