Bankura News : স্কুলের পাশেই নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণ, বরাত জোরে বাঁচল পড়ুয়ারা – blast near a school creates panic among the students at saltora bankura


স্কুলের কাছেই বিস্ফোরণ। আতঙ্কজনক ঘটনা বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া এলাকায়। বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা। নিষিদ্ধ বাজি নিষ্ক্রিয় করতে গিয়েই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে।

Duare Doctor: জঙ্গলমহলে ‘দুয়ারে ডাক্তার’, শিবিরে মিলছে কোন কোন পরিষেবা? জেনে নিন
কী জানা যাচ্ছে?

রাস্তার এ প্রান্তে সরকারি মডেল স্কুল। তার ৫০ ফুট দূরত্বে আরেক প্রান্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্টেজ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে সরকারি অধীনস্থ এক কারখানা। যে কারখানায় রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতাল এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার বর্জ্য পদার্থ নষ্ট করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়।

Bankura Bjp MP : ‘স্বৈরতন্ত্র-একনায়কতন্ত্র’ চালাচ্ছেন সুভাষ সরকার! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে ঘরে বন্দি করলেন দলেরই ‘বহিষ্কৃত’রা
কারখানায় বিস্ফোরণ

সেই কারখানায় এবার বারুদ নিষ্ক্রিয় করার সময়ই বিপত্তি। স্কুলের কাছে এরকম একটি কারখানায় বারুদ নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, উচ্চ শব্দসৃষ্টিকারী বেআইনী বাজি ও আতশবাজি রোধে রাজ্যের বিভিন্ন থানা বাজেয়াপ্ত করেছে একাধিক অবৈধ বাজি ও আতশবাজি। আর সেই সকল বাজী ও আতশবাজি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু সেই আতশবাজি নিষ্ক্রিয়-র ঘটনায় ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলেন সরকারি সেই মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষিকা এবং গ্রামের মানুষজন।

Bankura News Today : রাস্তা না কি নর্দমা? বেহলা সড়কেই গ্রামবাসীদের প্রতিবাদী ‘ধান চাষ’
পুলিশ কী জানাচ্ছে?

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানায় বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য লরিতে করে আনা হয় এই কারখানায়। নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়া চলাকালীন ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজে গোটা স্কুল জুড়ে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ক্লাস থেকে বেরিয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিষয়টি বুঝতে স্কুলের শিক্ষকরা ছাদের উপরে গেলে দেখতে পান স্কুলের পাশের কারখানা থেকে গোল গোল করে বের হচ্ছে আগুন ও কালো ধোঁয়া।গোটা আকাশ ঢাকা পড়ে কালো ধোঁয়ায়।

সাঁওতালি মাধ্য়মে পঠন-পাঠনের দাবিতে অবস্থান


আতঙ্কে পড়ুয়ারা

বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়া দেখে আতঙ্কে পড়ে যান কারখানার অদূরে থাকা গ্রামবাসীরাও। গ্রামবাসীদের দাবি ভয়ংকর শব্দে গ্রামের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল কেঁপে ওঠে।ঘটনার আতঙ্কের ছাপ এখনও গোটা এলাকা জুড়ে।স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি স্কুলের অদূরে কিভাবে গড়ে উঠতে পারে এমন একটি কারখানা।
২০১৬ সালে নির্মিত হয় শালতোড়া ব্লকের পাবয়া গ্রামে সরকারি এই মডেল স্কুল। ২০২১ সালে এই মডেল স্কুলের পাশেই নির্মিত হয় এই বেসরকারি সংস্থা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে সরকারি স্কুলের পাশেই কারখানা নির্মাণে কী ভাবে ছাড়পত্র পেল এ সংস্থা?

স্কুল কী জানাচ্ছে?

সংশ্লিষ্ট দফতর কি আদৌ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দিয়েছিলেন এই ছাড়পত্র? তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এমনকি গ্রামের মানুষের একটাই দাবি, এই কারখানায় অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। বাজি ও আতশবাজি নিষ্ক্রিয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হোক। যদিও শালতোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্যাণী হেমরম সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে সদর মহকুমা শাসক সুশান্ত কুমার ভক্তের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *